ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, দেশে ভয়ের রাজত্বের পতন হয়েছে, পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জুলাই-পরবর্তী রাজনীতি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলা’ শীর্ষক সেমিনারে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন স্কুল অব লিডারশিপের উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
স্কুল অব লিডারশিপের জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. গোলাম কাদের চৌধুরী নোবেল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্কুল অব লিডারশীপের নির্বাহী সদস্য ও ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম মুনীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট গোলাম রাব্বানী নয়ন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, পাকিস্তান কনস্যুলার কামরান ডাঙ্গাল, সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, বিএনপি’র সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালের ভিসি প্রফেসর ড. পেয়ার আহমেদ, স্কুল অব লিডারশিপের কোষাধ্যক্ষ বিপু চৌধুরী, স্কুল অব লিডারশীপের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. ফায়েজ কায়সার, এক্সিকিউটিভ মেম্বার ব্যারিস্টার ফিরোজ হোসাইন ও লেবার কোর্টের মেম্বার তৌহিদুর রহমান, মেজর (অব.) সারোয়ার হোসাইন।
এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন- স্কুল অব লিডারশিপের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. ফায়েজ কায়সার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইংল্যান্ডের নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং স্কুল অব লিডারশিপের যুক্তরাজ্যের কনভেনর প্রফেসর ড. আলিয়ার হোসেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গত ১৫ বছরে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল যেখানে শেখ হাসিনা থাকলে ক্ষমতার পরিবর্তন সম্ভব নয়-এই ধারণা রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বড়-বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ-সবার মধ্যে এই ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৪ সালের নির্বাচনকে ‘সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক’ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেরও কড়া সমালোচনা করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেন বিএনপির এ নেতা। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিচারক, ভাইস চ্যান্সেলরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলরা সরকারের ইচ্ছে মতো কাজ করেছেন, যা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমও ভয়ের কারণে সত্য প্রকাশে সাহস দেখাতে পারেনি।