রিমান্ড শেষে বেরোবির সাবেক ভিসি কলিমউল্লাহ কারাগারে

বাসস
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:১১
অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ । ফাইল ছবি

ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) :‎‎ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপর দিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন  ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া।

এর আগে গত ৭ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
 
গত ১৮ জুলাই নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বেশি চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া করেন। ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেই এফডিআর ঠিকাদারকে ঋণ দেওয়ার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ অনুমোদন তথা গ্যারান্টার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার কোনো আইন না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বিল দেওয়া হয় এবং অগ্রিম দেওয়া বিল সমন্বয়ের আগেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করা হয়। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ড্রইং বা ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম. হাবিবুর রহমান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জাম্বিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সশ্রম কারাদণ্ড
ইয়েমেনে ইসরাইলের গুপ্তচর সন্দেহে জাতিসংঘ কর্মী আটক: হুতি কর্মকর্তা
নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকরা
শরীয়তপুরে কমিউিনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ক সেমিনার
বেইজিংয়ে সি চিনপিংয়ের সঙ্গে কিম জং উনের বৈঠক
তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সহযোগিতা করবে সরকার: তৌহিদ
ঝালকাঠিতে স্কাউট সদস্যদের সনদ বিতরণ
বাংলাদেশে এসডিজি অর্জনে তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর জোর বিশেষজ্ঞদের
সিলেটে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য জব্দ
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য বিজিএমইএ’র জরুরি মানবিক সহায়তা
১০