ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা চলতি সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের কর্মীদের ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর সন্দেহে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন এক হুতি কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে এই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এএফপি’কে এই তথ্য জানান।
সানা থেকে এএফপি জানায়, গত সপ্তাহে ইসরাইলি বিমান হামলায় হুতিদের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার প্রায় অর্ধেক সদস্য নিহত হওয়ার পর রোববার অন্তত ১১ জন জাতিসংঘ কর্মীকে আটক করা হয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি আগ্রাসনের পক্ষে তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় পাঠানো হবে।
আটককৃতদের মধ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং ইউনিসেফের কর্মীরাও রয়েছেন, যারা শিশুদের সহায়তা ও ত্রাণ সহায়তা দিয়ে থাকে।
ইয়েমেনি এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, শনিবার আরো কয়েক ডজন মানুষকে ‘ইসরাইলের সঙ্গে সহযোগিতার সন্দেহে’ আটক করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবারের ইসরাইলি বিমান হামলায় হুতি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব নাসের আল-রাহাভি, নয়জন মন্ত্রী এবং দুইজন মন্ত্রিসভার কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়। এটি গাজা যুদ্ধ চলাকালে ইরান-সমর্থিত হুতিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের পাল্টা অভিযানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।
যুদ্ধ চলাকালে হুতিরা ইসরাইল ও লোহিত সাগরের জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন।
হুতিরা গত এক দশক ধরে ইয়েমেনের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। রোববারের ঘটনার আগে থেকেই তারা ২৩ জন জাতিসংঘ কর্মীকে আটক করে রেখেছিল, যাদের কেউ কেউ ২০২১ সাল থেকে বন্দি আছেন।
তারা দাবি করে, ২০২৪ সালের জুনে যাদের আটক করা হয়েছিল তারা ‘আমেরিকান-ইসরাইলি গুপ্তচর চক্র’। তারা মানবিক সংস্থার আড়ালে কাজ করেছে। এই অভিযোগ জাতিসংঘ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।