চট্টগ্রাম, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জশনে জুলুস আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্বের বৃহত্তম এ জশনে জুলুস (শোভাযাত্রা) ৫৪তম বারের মত আয়োজন করছে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। এবারও পবিত্র এ শোভাযাত্রা জনসমুদ্রে রূপ নেবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকায়ে কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মানবতার মুক্তির দিশারী রাসূল (সা.) এর এই ধরাপৃষ্ঠে শুভাগমনের ১৫০০ বছর পূর্তি এবং আনজুমান ট্রাস্টের শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণে এবারের শোভাযাত্রা ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করছে। চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক হয়ে ওঠা ধর্মীয় এ শোভাযাত্রা শরিয়তসম্মত ঐতিহ্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই সবাইকে ট্রাস্ট ঘোষিত নিয়মাবলি মেনে চলতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন দরবারে সিরিকোটের সাজ্জাদানশীন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (ম.জি.আ.)। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাহেবজাদা হজরত সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (ম.জি.আ.) এবং সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ (ম.জি.আ.)।
এ ছাড়া জশনে জুলুসে সাউন্ড সিস্টেম আনা, নারীদের অংশগ্রহণ ও খাবার নিক্ষেপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে জানান আয়োজকরা।
এবারের শোভাযাত্রা রোড ম্যাপ অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টায় ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা থেকে শোভাযাত্রা শুরু হবে। এটি বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি ঘুরে একই পথে ফিরে গিয়ে জামেয়া মাদরাসার মাঠে সমবেত হবে। সেখানে মাহফিল, জোহর নামাজ এবং দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে আরও বক্তব্য দেন মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক আমির হোসেন সোহেল, ট্রাস্টের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, অভীক ওসমান এবং আবু তালেব বেলাল প্রমুখ।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস উপলক্ষে নগরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশ বিশেষ নির্দেশনাও দিয়েছে।
ইতোমধ্যে নগরের বিভিন্ন মোড়ে সুসজ্জিত তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। সড়ক বিভাজক ও সড়কদ্বীপে শোভা পাচ্ছে জাতীয় পতাকা ও আনজুমানের পতাকা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে মাদ্রাসা ও আশপাশের এলাকায় শতাধিক অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে।