ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রমাণ করেছে ছাত্র রাজনীতিতে দায়িত্বশীলতা ও সংস্কারের চাহিদা প্রবলভাবে বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অঙ্গসংগঠন রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন তাদের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আত্মপ্রকাশ করেছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মেহেরবা প্লাজার অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম ৩০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা দেন এবং নতুন নেতৃত্বকে শপথবাক্য পাঠ করান। একইসঙ্গে সংগঠনের ৮ দফা দাবিও উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল শিক্ষা কমিশন গঠন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ আবাসন, কর্মমুখী শিক্ষা, শিক্ষিত বেকারদের আর্থিক সহায়তা, নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং কওমি শিক্ষার মানোন্নয়ন।
ঘোষিত ৩০ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি লামিয়া ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরাফাত শেখ, সহ-সভাপতি রাকিব হাসান মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসান।
এছাড়া রাজনৈতিক সম্পাদক লামিয়া আক্তার, দফতর সম্পাদক বাকি বিল্লাহ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মীর রায়ান ইসলাম, অর্থ সম্পাদক তোহফাতুল আলফি, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মেহদি হাসান শান্ত, ক্রীড়া সম্পাদক হাসান রোমান, মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক তালহা জুবায়ের, সংস্কৃতি ও গবেষণা সম্পাদক সীমান্ত রহমান এবং শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রেজওয়ানা রিশতা দায়িত্ব পেয়েছেন।
কমিটিতে কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন- মোহাম্মদ রিফাত, সোয়াব সাইহাম, মাহি আব্দুল্লাহ, মো. সাফওয়ান আহমেদ, নাফিজ এনাম, সামিউল আলম আয়ন্তা, ইব্রাহিম খলিল, মির্জা হামিদুল ইসলাম মেহরান, সোহান আল রাজী, ফাতেহ কামাল, নাইম হোসেন, ইশিতা ইয়াসমিন, রাকিব শিকদার রাফি, সোহাগ আলি এবং ইমরান হোসেন।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি ছাত্র-যুবদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্তরায় উল্লেখ করে নবনির্বাচিত সভাপতি লামিয়া ইসলাম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরের বাংলাদেশকে মানবিক ও জনমুখী হতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের ৮ দফা সেই লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এটা প্রমাণ করেছে ছাত্রদের মধ্যে দায়িত্বশীল রাজনীতির বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন দায়িত্বশীলতার রাজনীতির দিকনির্দেশক হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকেও দায়িত্বশীলতার রাজনীতির প্রতিযোগিতায় আহ্বান জানাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসাইন, দিদারুল ভূঁইয়া, কবি ও আইনজীবী রুদ্রাক্ষ রায়হান। অতিথি হিসেবে ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রঐক্যের দস্তুর সম্পাদক তানভীর আহমেদ স্বাধীন, জুলাই ফোর্সের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সেলিম ও সোহেল শিকদার, সমন্বয় কমিটির সদস্য ছামিউল আলম রাশু, কেন্দ্রীয় সংগঠক ইবনুল সৈয়দ রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলনের সংগঠক আরিফুল ইসলাম জুয়েল এবং রাষ্ট্র সংস্কার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আবুল হাসান অলি।