ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যাকাণ্ড ও অটোরিকশা ছিনতাই ঘটনায় দুই বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা জেলা।
গ্রেফতার সদর আলী ওরফে সোহরাব(৪৭) এবং আলমগীর (২৫)গত ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিবিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দার কেষ্টখালী গ্রামের ধানক্ষেতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয় তার নাম সায়েদুর রহমান, পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। ঘটনাটি প্রথমে ধামরাই থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হলেও পরবর্তীতে এটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পিবিআই তদন্তে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য- আসামি সদর আলী, আলমগীর এবং জুয়েল একই বাসায় পাশাপাশি রুমে থাকতেন। সদর আলীর স্ত্রীর সাথে জুয়েলের অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সদর আলীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়া এবং পরে ভিকটিমের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পরে নগদ টাকার প্রয়োজন মেটাতে পরিকল্পিতভাবে খুন ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় আসামিরা।
তদন্তে আরও জানা যায়, আসামিরা ভিকটিমকে ‘গান শোনার’ কথা বলে ফুসলিয়ে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের অটোরিকশাটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে তারা টাকা ভাগ করে নেয়।
পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা ঘটনার বিষয়ে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত শুরু করি। এক পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামি সদর আলী ও আলমগীরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করি। আসামিদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নগদ টাকার প্রয়োজনে পরিকল্পিতভাবে আসামিরা ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর বিক্রি করেছে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’