ঢাকা, ৯ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ও তার ছেলে ইমরান ইকবালের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একইসাথে ডা. ইকবালের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী ও অপর পুত্র মঈন ইকবালকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমানের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান টিমের অপর সদস্য উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
দুদক জানায়, ডা. এইচ.বি.এম. ইকবালের নামে মোট ২৯৮ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৯ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। দায় বাদে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫৯ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৫ টাকা। অপরদিকে তিনি আয়ের বিপরীতে নিট সঞ্চয় দেখিয়েছেন ৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৩ টাকা। ফলে তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ৬২ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া তার পুত্র ইমরান ইকবালের নামে ৪৫ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ৩৯৭ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বিপরীতে বৈধ নিট আয় রয়েছে ৪০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ৫ কোটি ৩ লাখ টাকার সম্পদ ভোগ দখল করছেন।
এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ডা. ইকবালের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পীর নামে ১০ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। তার আয়ের বিপরীতে নিট সঞ্চয় ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় নির্ধারিত হওয়ায় জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
একইভাবে ডা. ইকবালের অপর পুত্র মঈন ইকবালের নামে ৪৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বিপরীতে বৈধ নিট আয় ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা।
তাদের উভয়ের প্রকৃত সম্পদ ও আয়ের উৎস নির্ধারণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।