রংপুর, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): রংপুরকে পরিকল্পিত, সহনশীল ও টেকসই আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে গুচ্ছ-ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার রংপুর সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান, ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান এন্ড সিটি রেজিলিয়েন্স অ্যাকশন প্ল্যান’-শীর্ষক কর্মশালায় তারা এই মত দেন। রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে শহরের সড়ক, পয়ঃনিষ্কাশন, পানি সরবরাহ, বাজার উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো নির্ধারণ করা হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও যুগ্মসচিব মো. আশরাফুল ইসলাম।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রংপুর সিটি করপোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ সাজেদা বেগম, প্রকল্পের পৌর নকশা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ আব্দুর রকিব খান, স্থপতি ফারহানা ইসলাম, সামাজিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এমটিএস মাহমুদ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আল আমিন, সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মৌসুমি আফরিন এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আজম আলী।
কর্মশালায় নগর পর্যায়ে সমন্বয় কমিটির সদস্য, প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট পরামর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।
রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটি রংপুরসহ দেশের ছয়টি সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ভবিষ্যতে নগর উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে রংপুর একটি পরিকল্পিত, স্মার্ট ও আধুনিক শহরে পরিণত হবে। সেখানে নাগরিকদের সব ধরনের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হবে। এর ফলে নাগরিক জীবনের মান উন্নত হবে।
বক্তারা রংপুরের ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ রোধ, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাব ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
তারা বলেন, প্রস্তাবিত পরিকল্পনা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ভূমি ব্যবহার নির্ধারণ ও সংরক্ষণে সহায়ক হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম রংপুরকে একটি পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব, আধুনিক, সহনশীল ও টেকসই কেন্দ্রীয় নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। যা দেশের টেকসই নগর অর্থনীতির বিকাশ ও পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।