দিনাজপুরে শেখ হাসিনাসহ ১১৮ জনের বিরুদ্ধে নাশতার মামলা দায়ের

বাসস
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০১

দিনাজপুর, ২০ অক্টোবর, ২০২৫(বাসস) : দিনাজপুরে শেখ হাসিনাসহ ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪শ’ জনকে আসামি করে আদালতে নাশতার মামলা দায়ের করেছেন এক জুলাই যোদ্ধা। সোমবার রাতে দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক  মো.  আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সোমবার দুপুরে দিনাজপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  মো. সামিউল ইসলামের আদালতে জুলাই যোদ্ধা  মো. হায়াত আলী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

বিচারক মামলাটি গ্রহণ করেন এবং বাদীর অভিযোগের বিষয় আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে দিনাজপুর সিআইডি জোনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন।

মামলার বাদী মো. হায়াত আলী (৩১) দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর গ্রামের  মো. সানাউল্লাহ পুত্র।
মামলায় অন্যতম আসামিদের মধ্যে রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক হুইপ ও আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল রহিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক  মো. মমিনুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ  মো. শাহ আলম, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক  মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুল ইমাম চৌধুরীর পুত্র মো. আজিজুল ইকবাল চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোকছেদ আলী রানা,শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ ইকবাল কলিংন্স, শহর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি জিয়াউর রহমান নওশাদ, দিনাজপুর পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র, তৈয়ব আলী দুলাল ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শেখ বাদশাসহ ১১৮ জন আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪ শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় গত বছর ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোটা বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দিনাজপুর শহরে আহত জুলাই যোদ্ধাদের সাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

মামলার বাদী হায়াত আলী অভিযোগ করেন, তিনিসহ একাধিক জুলাই যোদ্ধা গত বছর ৪ আগস্ট দুপুর দুইটা থেকে ৩টা পর্যন্ত দিনাজপুর শহরে সদর জেনারেল হাসপাতালে মোড় থেকে তৎকালীন হুইপ ইকবালুর রহিমের বাড়ি এবং আদালত এলাকা পর্যন্ত আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল।

অংশ নেয়া আন্দোলনকারীদের ওপর আসামিরা দেশি অস্ত্র-শস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত করে। আসামিদের হামলা, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ফলে বাদীসহ বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা গুলি বিদ্ধ হয়েছিল।

আহতরা গুরুতর অবস্থায় সে সময় সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহতদের চিকিৎসা দিতে অবহেলা করেন। ফলে নিরুপায় হয়ে অনেক গুরুত্বর আহতরা হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়।এর মধ্যে গুরুত্বর আহত সদর উপজেলার রানীগঞ্জ এহিয়া কলেজের ছাত্র রবিউল ইসলাম রাহুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

হায়াত আলী নিজে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে গত বছর ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পযন্ত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। দীর্ঘ সময় সে তার বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। তাকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।

এই ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে প্রথমে সদর কোতয়ালী থানায় মামলা দাখিল করেছিলেন। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ গত তিন মাস অতিবাহিত হলেও মামলাটি রেকর্ড না করায় বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে দাবি করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দিনাজপুরে শেখ হাসিনাসহ ১১৮ জনের বিরুদ্ধে নাশতার মামলা দায়ের
অবিশ্বাস্য হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ
অগ্নিনিরাপত্তায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নরসিংদীতে গণসংযোগ কার্যক্রম
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২০ জন গ্রেফতার
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১,৭৭৯ মামলা
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন আর নেই
দেশজুড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান: বাস ডাম্পিং, হাইড্রোলিক হর্ন, নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও জরিমানা
জালিয়াতি, অনিয়মের অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান
জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
গাজায় ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরাইল
১০