মনোরেল চালু হলে নগরবাসী যানজটমুক্ত গণপরিবহন সুবিধা পাবে : চসিক মেয়র

বাসস
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪০
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রেস্টহাউস প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম নগরে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ক সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: বাসস

চট্টগ্রাম, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ও যানজট বিবেচনায় গণপরিবহন ব্যবস্থায় আধুনিক সমাধান জরুরি। মনোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী পাবেন যানজটমুক্ত, নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক গণপরিবহনে যাতায়াতের সুবিধা। এতে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, যানজট কমবে এবং নগর অর্থনীতি হবে আরও গতিশীল।”

তিনি বলেন, “চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহরে রূপান্তরের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।”

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রেস্টহাউস প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম নগরে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আজ শুক্রবার এ কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সাল রহমান, আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাউসার আহমেদ চৌধুরী এবং প্রকল্প পরামর্শকগণ।

সভায় জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য চারটি রুটে চলাচলের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে—কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে) — ২৬.৫ কিলোমিটার, সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত (এ কে খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) — ১৩.৫ কিলোমিটার, অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার পর্যন্ত (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে) — ১৪.৫ কিলোমিটার, সিটি গেট থেকে পোর্ট কানেক্টিং রোড হয়ে আগ্রাবাদ এক্সেস ও নিমতলা পর্যন্ত — ১০.৯ কিলোমিটার। 

প্রতিনিধি দল জানায়, মনোরেল চালু হলে ওরাসকম যাত্রীপ্রতি অন্তত ৫ টাকা হারে সিটি কর্পোরেশনকে মুনাফা দেবে। প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে ২০-২৫ বছর প্রতিষ্ঠানটি নিজে পরিচালনার পর পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনকে প্রকল্পটি হস্তান্তর করবে।

সেন্ট্রাল স্টেশন, স্টোরেজসহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আনুমানিক ৫০ একর জায়গা লাগবে। প্রতিদিন মনোরেল পরিচালনায় ৩০-৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) সম্পন্ন হতে সময় লাগবে আনুমানিক ৭ থেকে ৮ মাস এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ বছর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
লিবিয়ায় অভিবাসীরা নির্যাতন ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন : আইওএম প্রধান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা নিতে হবে সরকারকে : সাইফুল হক
পিডিপিও আইনে ডেটা লোকালাইজেশনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই : তৈয়্যব
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংখ্যালঘুদের পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে : ফখরুল
গাজায় দ্রুত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের আশা রুবিওর
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ 
লিবিয়া থেকে ফিরল ৩০৯ বাংলাদেশি
ওয়েলসে স্টারমারের লেবার পার্টির ঐতিহাসিক পরাজয়
বাণিজ্য বিরোধের মধ্যে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চীন সফর স্থগিত
পিরোজপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
১০