সবুজ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নকে জাতীয় কাঠামো হিসেবে গ্রহণের আহ্বান

বাসস
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:২৬
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নীতিনির্ধারক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা দেশের দরিদ্র ও স্বল্পআয়ের জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু পদক্ষেপকে একীভূত করতে ‘সবুজ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন’কে জাতীয় কাঠামো হিসেবে গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে গতকাল সোমবার ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএনএম) এবং সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ (সিআইডিডি) যৌথভাবে আয়োজিত এক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

আইএনএম চেয়ারম্যান ড কিউ কে আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক এবং সিআইডিডির চেয়ারম্যান ড. মুস্তফা কে মুজেরি। 

প্রবন্ধে ড. মুস্তফা কে মুজেরি দারিদ্র্য হ্রাস, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু সহনশীলতাকে সমন্বিত করে একটি কৌশলগত কাঠামো তুলে ধরেন। যেখানে তিনটি প্রধান উপাদান সহনশীলতা, অভিযোজন এবং রূপান্তরের কথা উল্লেখ করা হয়।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তা আলাদাভাবে নয়, বরং সমন্বিতভাবে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘সবুজ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন’ পদ্ধতি দুর্বল জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং টেকসই জীবিকায় রূপান্তরিত হতে সক্ষম করবে।

সভায় বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মো. রাশাদুল ইসলাম এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ-এর  গবেষণা বিশ্লেষক কাজী করিনা আরিফ।

প্যানেল সদস্যরা দরিদ্র ও স্বল্পআয়ের জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো আলোচনা করেন।

তারা বলেন, অনেক সময় জলবায়ু অভিযোজন নীতিমালা সুবিধাভোগী শ্রেণির পক্ষে ঝুঁকে থাকে, ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরো বেশি ঝুঁকিতে পড়ে।

বক্তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক উপকরণ যেমন— ক্ষুদ্রঋণ, মাইক্রো ইনস্যুরেন্স, সহজ সঞ্চয় প্রকল্প, জরুরি ঋণ কর্মসূচি এবং লক্ষ্যভিত্তিক নিরাপত্তা নেট কার্যকরভাবে সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন, যা জলবায়ু প্রবণ এলাকার জনগণের সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

সভায় উপস্থিত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, উন্নয়ন সংস্থা ও নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সবুজ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে বাস্তবধর্মী প্রস্তাবনা দেন।

সভা শেষে বক্তারা সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ, স্থানীয় পর্যায়ের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় অঞ্চল, হাওর ও বন্যাপ্রবণ এলাকার মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে লক্ষ্যভিত্তিক বিনিয়োগের আহ্বান জানান, যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় কেউ পিছিয়ে না থাকে।

সিআইডিডির ট্রাস্টি আরসালান জামান আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সকল বিশেষজ্ঞ, বক্তা ও অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এমন গঠনমূলক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ
ভোলা ও পাথরঘাটায় কোস্টগার্ডের অভিযানে তিন মাদক কারবারি আটক
প্রতিবছর প্রায় ১ শতাংশ হারে আবাদযোগ্য জমি হ্রাস পাচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ফাইনালের পথে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় একব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড 
স্বৈরাচার পতনের মতো নাশকতাকারীদেরও প্রতিহত করবে ঢাকাবাসী : ডিএমপি কমিশনার
ঢাবির পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডজি বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা
মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির দায়ে মুন্সীগঞ্জে ফার্মেসি মালিককে জরিমানা
জয়পুরহাটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিসভা 
২০২৬ বিশ্বকাপই শেষ, জানালেন রোনাল্ডো
১০