কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পাবে: এড. জুবায়ের

বাসস
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:১৮

ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ায় দেশের জনগণের বহুল প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, তারা ভোটাধিকার ফিরে পাবে।

এই রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এসব কথা বলেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলটির কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আফম আব্দুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান ও প্রচার সহকারী আব্দুস সাত্তার সুমন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা ২০১১ সালে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে এক অন্ধকার যুগে ঠেলে দিয়েছিলেন। এ রায়ের মাধ্যমে জাতি সেই অন্ধকার থেকে পুনরায় মুক্তি লাভ করেছে।

এড. জুবায়ের মামলাটির সঙ্গে জড়িত সব আইনজীবী, পক্ষভুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং আদালতকে সহযোগিতা প্রদানকারী সবাইকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, তাদের ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল বিতর্কিত। কেয়ারটেকার ব্যবস্থা বাতিল করার পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি ঘোষণা করা হয়, যা ছিল সরাসরি ভোটবিহীন নির্বাচন। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের মাধ্যমেই ওই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। একইভাবে ২০১৮ সালে আগের দিন রাতে ব্যালটে সিল মেরে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনও ছিল ‘আমি, তুমি ও ডামি’ নামে পরিচিত এক ভুয়া ভোটগ্রহণের নাটক-যা বিরোধীদলগুলো বর্জন করে।

এড. জুবায়ের বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তোলে এবং ৫ আগস্ট সেই সরকারের পতন ঘটে। জুলাই বিপ্লবের পর কেয়ারটেকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। আজকের রায়ের মাধ্যমে সেই দাবি বাস্তবায়িত হলো। রায় অনুযায়ী ১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে, ফলে জনগণ ফিরে পাবে তাদের ভোটাধিকার। এতে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নতুন স্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে এবং দেশ উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে-এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
হাসিনা, কামালকে ফেরাতে আইসিসিতে যাওয়ার কথা ভাবছে সরকার : আসিফ নজরুল
দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে দ্বিতীয় সমাবর্তন আগামী ২২ নভেম্বর
বেরোবির প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন
টানা তৃতীয় জয়ে সেমিফাইনালের পথে ভারত
ঢাবি ক্যারিয়ার ফেস্ট ও গবেষণা মেলা ১৪ জানুয়ারি 
তারেক রহমানের জন্মদিনে শেরপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
৫২ বছরের ইতিহাসে প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন হাকিমি
চট্টগ্রামে তৈরি ৩ ল্যান্ডিং ক্রাফট যাচ্ছে আরব আমিরাতে
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু 
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ইন্দোনেশিয়ায় শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে 
১০