
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫(বাসস): কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস ৫৫তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষে একটি রিসেপশন আয়োজন করেছে, যা বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি এবং গভীর প্রতিরক্ষা সহযোগিতার নিদর্শন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত বার্তায় জানা গেছে, কুয়েত সিটিতে অবস্থিত হোটেল মিলেনিয়ামের আল তাজ বলরুমে গতকাল ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রিসেপশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর প্রশাসন ও জনবল বিষয়ক সহকারী মেজর জেনারেল ফেরাস আদেল আল-শাহিন।
রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, প্রতিরক্ষা সংযুক্ত কর্মকর্তা, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, বাংলাদেশি সামরিক কন্টিনজেন্টের সদস্য এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে কুয়েতস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি এবং জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ শিক্ষার্থী ও জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জাতীয় উন্নয়নে অবদান এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাস ও অবদান তুলে ধরেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম উপসাগরীয় দেশ ছিল কুয়েত।
শান্তিরক্ষা সদস্যসহ প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ১৯৯১ সাল থেকে অবস্থান করায় কুয়েতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে আসছে।
প্রতিরক্ষা সংযুক্ত কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিব তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে নবগঠিত সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বিত কার্যক্রম স্বাধীনতার পথে গতিকে ত্বরান্বিত করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। কুয়েতে বর্তমানে কর্মরত ১১টি বাংলাদেশি সামরিক কন্টিনজেন্টের প্রযুক্তিগত ও পেশাদারী অবদানের উদাহরণও দেন তিনি। সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের সামরিক বিনিময়গুলোর উল্লেখ করেন এবং কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
সব অতিথি এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।