ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সাফল্য ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল থেকে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে মরিয়া টাইগাররা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
সদ্যই শ্রীলংকার মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। হার দিয়ে শুরুর পর শেষ দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে লংকানদের বিপক্ষে প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টির আগে শ্রীলংকা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে বাংলাদেশ। নিজেদের সেরা পারফরমেন্স প্রদর্শন করে সাফল্য আদায় করে নিয়েছে টাইগাররা। কিন্তু সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পাকিস্তান ভিন্ন দল। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্য খুব বেশি নেই।
ভারতের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্যের হার খুবই খারাপ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে টাইগাররা জয় পেয়েছে মাত্র তিনটিতে এবং হেরেছে ১৯ ম্যাচে। ভারতের বিপক্ষে ১৭ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জিতেছে বাংলাদেশ।
এ বছরের মে মাসে পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। তাই ঘরের মাঠের সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য প্রতিশোধের মিশন।
শ্রীলংকা সিরিজে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং উন্নতি চোখে পড়ার মত ছিল। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং পারভেজ হোসেন গত কয়েকটি সিরিজে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। তবে পাকিস্তান সিরিজ তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপ অনেক বেশি শক্তিশালী।
শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের দল নিয়েই পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। দলে কোনও পরিবর্তন আনেনি টাইগাররা। শ্রীলংকার সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে জয় পাওয়া একাদশ নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ।
শাদাব খানকে ছাড়াই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামবে পাকিস্তান। তবে সফরকারীদের দলে খুশদিল শাহ এবং ফাহিম আশরাফের মতো অলরাউন্ডার রয়েছে। যারা বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ।
গত কয়েক মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলা এমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাঁচজন ক্রিকেটার পাকিস্তান দলে আছেন। মিরপুরে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন খুশদিল। যা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি মোহাম্মদ হারিস, ফাহিম আশরাফ, আবরার আহমেদ এবং আব্বাস আফ্রিদিও ঐ প্রতিযোগিতায় খেলেছিলেন।
বাংলাদেশ দল : লিটস দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামিম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মাহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
পাকিস্তান দল : সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, আহমেদ দানিয়াল, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হাসান নাওয়াজ, হুসেন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস আফ্রিদি, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, সাহিবজাদা ফারহান (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, সালমান মির্জা এবং সুফিয়ান মুকিম।