
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রুনাইকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন অপু রহমান ও রিফাত কাজী।
চোংকিং-এর ইয়ংচুয়ান স্পোর্টস সেন্টার স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছে লাল-সবুজরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে আসে সাফল্য। অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের পাস থেকে জালে বল জড়ান ফরোয়ার্ড অপু রহমান। ব্যবধান দ্বিগুন হতে অপেক্ষা মাত্র ১০ মিনিটের, এবার দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে জালে বল জড়ান আরেক ফরোয়ার্ড রিফাত কাজি।
এ্যাসিস্টের পর এবার গোলদাতা অধিনায়ক নিজেই, ৩৬ মিনিটে ডিফেন্ডার ইশান হাবিব রিদুয়ানের থ্রুকে গোলে পরিনত করতে ভুল করেননি নাজমুল হুদা ফয়সাল। পরের মিনিটেই দূরপাল্লার শট থেকে ব্যবধান ৪-০ করেন বাংলাদেশ নাম্বার নাইন মোহাম্মদ মানিক।
বিরতে থেকে ফিরেও চললো গোল উৎসব। এই অর্ধেও যোগ হলো আরও চার গোল। ৫০ মিনিটে দলের পঞ্চম ও আর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন অপু রহমান। ৭৪ মিনিটে জোড়া গোলে নাম লেখান আরেক ফরোয়ার্ড রিফাত কাজীও। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ভুল করলেও, ভুল করেননি রিফাত। নাজমুল হুদা ফয়সালের নেয়া শটের ফিরতি শটে জালে বল জড়ান।
৭৬ মিনিটের সপ্তম গোলের অবদান মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আরিফের। এবার যথারীতি হেডকোচ গোলাম রব্বানী ছোটন পরখ করলেন সাইড বেঞ্চ। বদলি বায়েজিদ বোস্তামি ম্যাচ শেষের ১১ মিনিট আগে করেন দলের অষ্টম ও শেষ গোলটি। পুরো ম্যাচেই ব্রুনাইয়ের বিপক্ষে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে টিম বাংলাদেশ। গোলের সুযোগ নষ্ট হয়েছে, এমনকি একাধিক শট ফিরেছে বারপোষ্টে। আর এতে ৮-০ গোলের ব্যবধানে সন্তুষ্ট থাকতে হয় লাল-সবুজের যুবাদের।
এর আগে শনিবার তিমুর লেস্তেকে ৫-০ গোলে পরাজিত করে আসর শুরু করে বাংলাদেশ।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশ কঠিন গ্রুপে পড়েছে। এ-গ্রুপে বাংলাদেশের সাথে আরো আছে চায়না, বাহরাইন, ব্রুনাই, শ্রীলংকা ও তিমোর লেস্তে। আগামী ২৬ নভেম্বর তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। এরপর ২৮ নভেম্বর বাহরাইন ও ৩০ নভেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক চায়নার মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সাত গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য ১৬ দলের ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের টিকেট পাবে।
গত ১৯ বছরের মধ্যে ২০১৭ ও ২০২২ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ রানার্স-আপ হিসেবে বাছাইপর্ব শেষ করেছিল যা এ পর্যন্ত তাদের সেরা পারফরমেন্স। উভয় আসরেই সেরা ছয় রানার্স-আপ তালিকায় খুব কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।