ই-জিপি টেন্ডার ১০ লাখ ছাড়ালো

বাসস
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:২০

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)-এর ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের মাধ্যমে আহ্বানকৃত দরপত্রের সংখ্যা, দরদাতা ও ক্রয়কারী সংস্থার নিবন্ধন উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে আধুনিক ও সুসংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে চালু হওয়া ই-জিপি একটি কেন্দ্রীভূত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস, দ্রুত কার্যকারিতা এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে শুরু থেকেই এটি দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে। দরদাতা ও ক্রয়কারী এ সিস্টেমের প্রধান ব্যবহারকারী।

ডিজিটাল ক্রয়ের সুবিধা ও কার্যকারিতার কারণে তারা এ পরিবর্তনকে সাদরে গ্রহণ করেছে।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১১ থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে আহ্বানকৃত দরপত্রের মোট সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যার মোট মূল্য ১০ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত আহ্বানকৃত মোট দরপত্রের সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৭৭ হাজার, যার মোট মূল্য ছিল ৯ লাখ ২২ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা।

২০২৫ সালের নভেম্বরে এক মাসের মধ্যে ই-জিপিতে ২৩ হাজার দরপত্র আহ্বান নতুন মাসিক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ই-জিপি চালুর পর থেকে এক মাসে আহ্বানকৃত দরপত্রের সংখ্যাই সর্বোচ্চ।

ই-জিপি পরিচালনার সাথে সংযুক্ত সূত্রগুলো জানা গেছে, আহ্বানকৃত দরপত্রের এ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ২০২৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫-এর প্রয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত। নতুন বিধিমালায় সব সরকারি ক্রয়ে ই-জিপির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করেছে।

এখন প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০টি নিবন্ধনের আবেদন বিপিপিএ-তে আসছে, যেখানে আগে দৈনিক গড় ছিল মাত্র ৬০ থেকে ৭০।

তুলনামূলক তথ্যে আরও দেখা যায়, ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৪ হয়েছে, যা ২০২৪ সালের নভেম্বরে ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৭৭৭।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ২০১১ সালে সিস্টেম চালুর পর এক বছরে ২৩ হাজার দরদাতার নিবন্ধনের এ ধরনের বৃদ্ধি আগে কখনো দেখা যায়নি।

নিবন্ধিত ক্রয়কারী সংস্থার সংখ্যা ২০২৪ সালের নভেম্বরের ১ হাজার ৪৭৪ থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বরে বেড়ে ১ হাজার ৪৯৯ হয়েছে। একইভাবে, ক্রয়কারীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬০২ থেকে ১৪ হাজার ৩৭৪ হয়েছে।

বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) এস এম মঈন উদ্দীন আহম্মেদ পিপিআর, ২০২৫-এর প্রণয়ন ও কার্যকর করা দেশের সরকারি ক্রয় সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, পিপিআর, ২০২৫ সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকে সুসংগঠিত করবে। সরকারি ক্রয়ে প্রতি বছরে প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যের অর্থ ব্যয় হয়। পিপিআর, ২০২৫ প্রয়োগের ফলে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রংপুরে শুরু তিন দিনব্যাপী বিভাগীয় ইজতেমা
৮ ডিগ্রিতে নেমেছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা
চীন-রাশিয়ার যৌথ যুদ্ধবিমান টহলে জাপান-ন্যাটো’র গভীর উদ্বেগ
বাংলাদেশে বাবরি মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে দাবিতে ছড়ানো ছবি এআই-সৃষ্ট : ফ্যাক্টওয়াচ
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ঢাবির রোকেয়া হলে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল
ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের বক্তব্য রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ : ক্রেমলিন
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে হাতপাখার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে : রেজাউল করীম
টিআইবি’র দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা 
রায়পুরার সংঘাত বন্ধে কম্বিং অপারেশন করা হবে: স্বরাষ্ট উপদেষ্টা
বাংলা একাডেমিতে ‘বিজয় বইমেলা’ শুরু 
১০