
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) দেশের অটোমোবাইল শিল্পে স্থানীয় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প এবং সরকারের রাজস্ব কাঠামোর সার্বিক প্রেক্ষাপটে একটি সমন্বিত অটোমোবাইল নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনের ২০২৫ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ আহ্বান জানানো হয়।
রাজধানীর একটি ক্লাবে মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত এই সভায় বারভিডার প্রায় ৫৫০-এর বেশি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজ রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্টবৃন্দ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টবৃন্দ এবং কার্যনির্বাহী সদস্যরা অংশ নেন।
সভায় বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন, গত চার দশক ধরে বারভিডা দেশে পরিবহন খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মানসম্মত রিকন্ডিশন্ড যানবাহন সরবরাহ করে আসছে। জাপানের অভ্যন্তরীণ বাজারের উচ্চমানের গাড়ি দেশে আমদানি করায় জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পরিবহনসুবিধা নিশ্চিত সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ব্যবসা কেবল মুনাফাভিত্তিক নয়, এটি একটি ‘সোশ্যাল বিজনেস’ যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প বিস্তার এবং রাষ্ট্রের রাজস্ব কাঠামোয় বড় অবদান রাখে।
আবদুল হক বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বিশ্ব বাণিজ্য ও শিল্প স্থানান্তরের ধারা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নীতি, চীনের উৎপাদনশক্তির সম্প্রসারণ এবং ভূ-রাজনৈতিক নতুন বাস্তবতায় বাংলাদেশকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিশ্বে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ায় প্রচলিত ফসিল ফুয়েল ও হাইব্রিড গাড়ির বিক্রি কমছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ সরকারও ‘ইলেকট্রিক ভেহিকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইভি গাড়িতে কম শুল্ক কাঠামো বারভিডা আমদানিকৃত হাইব্রিড গাড়িকে প্রতিযোগিতায় ফেলতে পারে বলে তিনি জানান। তাই স্থানীয় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, রাজস্ব অবদান ও বাজার বাস্তবতা বিবেচনায় ভারসাম্যপূর্ণ একটি সমন্বিত অটোমোবাইল নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
সভায় সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজ রহমান বছরের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম তুলে ধরে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ট্রেজারার সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন। সভায় আগামী অর্থ বছরের বাজেট অনুমোদন এবং অডিটর নিয়োগ করা হয়।