শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ভেনিজুয়েলার নিকোলাস মাদুরো মঙ্গলবার সাংবিধানিক সংস্কারের ওপর একটি ‘গণবিতর্ক’ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। জালিয়াতির অভিযোগ সত্ত্বেও তার তৃতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পরপরই তিনি সংবিধানে পরিবর্তন আনতে শুরু করেন।
কারাকাস থেকে এএফপি জানায়, ১৯৯৯ সালে গৃহীত ভেনিজুয়েলার সংবিধানের একটি ধারা পাঠ করে মাদুরো বলেন, এই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যে সাংবিধানিক সংস্কার শুরু করতে যাচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে তিনি একটি গণবিতর্ক করবেন। তিনি জনসাধারণের ক্ষমতাকে সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে সংহত করতে চান।
মাদুরো দাবি করেছেন, ‘সাংবিধানিক সংস্কারের লক্ষ্য ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকে আরও বিস্তৃত করা, বলিভারিয়ান সাংবিধানিক মডেলকে নিখুঁত করা এবং ভবিষ্যতের সমাজ গঠন করা।’ সমালোচকরা বলছেন যে এই অসংজ্ঞায়িত প্রকল্পটি দেশে গণতন্ত্রকে সীমাবদ্ধ করার দিকে নিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ।
১৫ জানুয়ারি, মাদুরো আরও ছয় বছরের মেয়াদে শপথ নেওয়ার পাঁচ দিন পর, প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেন।
গত জুলাইয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করা হয়, জাতীয় নির্বাচনী কাউন্সিল তাকে ৫২ শতাংশ ভোট দেয় বলে দাবি করে। যদিও তিনি ভোটকেন্দ্রের তথ্য প্রকাশ করেননি এবং দাবি করেছিলেন যে তারা কম্পিউটার হ্যাকের শিকার।
বিরোধী দল, তাদের প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেছে।
নির্বাচনের পর বিক্ষোভে ২৮ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হন। ২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে ১ হাজার ৯০০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।