ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সরকার ও জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার সংঘাত, মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষকে সাহায্য করার লক্ষ্যে চলতি বছর ২.৫৪ বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তার আবেদন করেছে।
জাতিসংঘ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, ৭.৮ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষসহ দেশের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনে থাকা ১.১ কোটি মানুষকে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানের জন্য এই তহবিল ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ডিআর কঙ্গোর ২.১২ কোটি মানুষ ‘নজিরবিহীন বহুমাত্রিক সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত। বিশ্ব উষ্ণায়নের সাথে যুক্ত জলবায়ু বিপর্যয়, মহামারী ও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পূর্বাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত এসব সংকটের অন্তর্ভূক্ত।
রুয়ান্ডার সমর্থিত এম২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সাম্প্রতিক পূর্বের একাংশ অঞ্চল দখল করে নেওয়ায় মানবিক সাহায্য সরবরাহ জটিল করে তুলেছে।
কঙ্গোয় জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী ব্রুনো লেমারকুইস বলেছেন, ‘প্রতিদিন জীবন বাঁচাতে মানবিক পদক্ষেপের কার্যকারিতার প্রমাণ মিলছে।’
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের লক্ষ্য হচ্ছে- ‘সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেখানেই থাকুক, তাদের সহায়তা করা।’
জাতিসংঘের ২০২৫ সালে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে, এমন ১৫ লাখ শিশুকে সহায়তা করা। পঞ্চাশ লাখ মানুষকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা এবং কলেরা, হাম ও এমপক্সের মহামারী মোকাবিলা করা পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রত্যাবর্তন ও জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রস্তুতির জন্য সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত বছর জাতিসংঘের মানবিক প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার তহবিলের ৭০ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করে। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওয়াশিংটন কর্তৃক প্রদত্ত প্রায় সমস্ত বিদেশী সাহায্য হ্রাসের ফলে জাতিসংঘের পরিকল্পনাগুলো সম্ভাব্যভাবে প্রভাবিত হবে।
লেমারকুইস বলেন, ‘মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন মৌলিক নীতিগুলো স্বাধীনতা ও মানবতার সাথে আপস না করেই আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য মানিয়ে নিবে।’