ঢাকা, ১৪ মে ২০২৫ (বাসস) : আলজেরিয়ার পক্ষ থেকে আরও ফরাসি কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির কূটনীতিকদের বহিষ্কার করবে ফ্রান্স। বুধবার এমন ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-নোয়েল বারো।
আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ আলজেরিয়া এবং তার সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্সের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একাধিক ইস্যুতে উত্তেজনা বেড়েছে।
প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, বিএফএমটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বারো বলেন, আলজেরিয়ার এই পদক্ষেপ ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ এবং ফ্রান্সের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিক্রিয়াটি এই মুহূর্তে ‘পুরোপুরি পরিমিত’।
বারো আরও জানান, তিনি আলজেরিয়ায় নিযুক্ত ফরাসি চার্জ দ্য আফেয়ার্সকে তলব করে এই সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এর আগে সোমবার তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আলজেরিয়ার পক্ষ থেকে ফরাসি কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স ‘তাৎক্ষণিক ও কঠোর’ পদক্ষেপ নেবে।
ফরাসি পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কূটনৈতিক সূত্র জানান, যেসব কর্মকর্তা বহিষ্কৃত হচ্ছেন, তারা অস্থায়ী সহায়ক মিশনে ছিলেন। তবে কতজনকে বহিষ্কার করা হচ্ছে কিংবা কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে—তা নির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি।
গত এপ্রিলেই আলজেরিয়া ১২ জন ফরাসি কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়। তার প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সও সমপরিমাণ আলজেরীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে এবং দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয়। ফ্রান্সে এক আলজেরীয় কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের জের ধরেই এই পদক্ষেপ নেয় আলজেরিয়া।
দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় গত বছর, যখন ফ্রান্স মরক্কোর নিয়ন্ত্রণাধীন পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের ওপর মরক্কোর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে। ওই অঞ্চলে স্বাধীনতাপন্থী পলিসারিও ফ্রন্টকে সমর্থন দিয়ে আসছে আলজেরিয়া।
সম্প্রতি আলজেরিয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ফরাসি-আলজেরীয় লেখক বুয়ালেম সানসালকে গ্রেপ্তার ও কারাবন্দী করায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
এ ছাড়া ১৯৫৪-১৯৬২ সালে আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ দুই দেশের সম্পর্কে এখনও ছায়া ফেলছে।