ঢাকা, ৩০ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ‘অস্থির’ বিশ্বে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক সোমবার ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন।
বেইজিং জানিয়েছে, এই সফর অস্থির বিশ্বে সম্পর্ককে ‘স্থিতিশীলতার নোঙর’ হিসেবে তুলে ধরবে।
বেইজিং থেকে এএফপি জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই সফরে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর, ফ্রান্স ও জার্মানিতে যাবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে ব্লকটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চাইছে চীন।
অর্থনীতি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গভীর দ্বন্দ্ব রয়েছে। চীন ও ইইউ’র মধ্যে ৩৫৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি আছে। ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধ সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ইইউ’র সঙ্গে চীনের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেছেন, বিশ্ব শতাব্দী প্রাচীন পরিবর্তনের দ্রুত বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে, বেইজিং ও ইউরোপীয় ব্লককে ‘বিশ্বকে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাখতে হবে, বহুপাক্ষিকতা, মুক্ত বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক নিয়ম, ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করতে হবে এবং একটি অস্থির বিশ্বে স্থিতিশীলতা ও গঠনমূলক শক্তির নোঙর হিসেবে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে।’
ওয়াং ‘উচ্চ-স্তরের কৌশলগত সংলাপের’ জন্য ব্রাসেলসে ইইউ’র সদর দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা ক্যালাসের সঙ্গে দেখা করবেন।
ওয়াং জার্মানিতে কূটনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মে মাসে বার্লিনের নতুন রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি তার প্রথম সফর।
ফ্রান্সে ইউরোপ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোটের সঙ্গেও ওয়াং দেখা করবেন। ব্যারোট মার্চ মাসে চীন সফর করেন।
ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্ভবত আলোচ্যসূচিতে শীর্ষে থাকবে।
যদিও ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে চীন নিজেকে একটি নিরপেক্ষ পক্ষ হিসেবে চিত্রিত করেছে।
তবে ইউরোপীয় নেতারা মস্কোর প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পশ্চিমা সরকারগুলো বলেছে, বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মস্কোকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়েছে এবং তারা যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়াকে চাপ দিতে চীনকে আরও বেশি কিছু করার আহ্বান জানিয়েছে।