ঢাকা, ২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার হামাসকে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি একটি চুক্তি চূড়ান্ত করতে সম্মত হয়েছে।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় ট্রাম্প এ সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তার প্রতিনিধিরা ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সাথে উত্তেজনাপূর্ণ সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফর করার কথা রয়েছে ।
ট্রাম্প লিখেছেন, ইসরাইল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তে সম্মত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করার জন্য সকল পক্ষের সাথে কাজ করে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা চালানো হবে।
তিনি বলেন, মধ্যস্থতাকারী কাতার এবং মিশরের প্রতিনিধিরা এই চূড়ান্ত প্রস্তাব’ প্রদান করবেন বেল আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যের ভালোর জন্য হামাস এই চুক্তিটি গ্রহণ করবে, কারণ, এর চেয়ে ভালো চুক্তি তৈরি করা আর সম্ভব নয়।’
এই চুক্তি না মানলে ফল আরো খারাপ হবে বলে জানান ট্রাম্প।
তিনি এর আগে মঙ্গলবার বলেছিলেন, এই পরিস্থিতিতে আগামী ৭ জুলাই হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বোমা হামলার পর ইরানের সাথে ইসরাইলের ১২ দিনের যুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে। ট্রাম্প তার মধ্যস্থতাকারী সাম্প্রতিক চুক্তিগুলোর একটি সিরিজের সাথে আরেকটি শান্তি চুক্তি যুক্ত করতে আগ্রহী।
এদিকে, গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনী কমপক্ষে ২৬ জনকে হত্যা করেছে। কারণ, ইসরাইলের হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ‘হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণে মারাত্মক হামলার খবরের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল এ কথা জানায়।
মঙ্গলবার সকালে পৃথকভাবে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তারা ‘গাজা উপত্যকার অতিরিক্ত এলাকায় তাদের অভিযান সম্প্রসারণ করেছে, কয়েক ডজন সন্ত্রাসীকে নির্মূল করেছে এবং মাটির ওপরে এবং নীচে শত শত সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করেছে।’
গাজা শহরের শুজাইয়া জেলার ৩৯ বছর বয়সী রাফাত হ্যালেস বলেন, ‘গত সপ্তাহে বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ তীব্র হয়েছে এবং ট্যাঙ্কগুলো অগ্রসর হচ্ছে।’
তিনি বলেন,‘যখনই আলোচনা বা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়, সেনাবাহিনী স্থলভাগে অপরাধ এবং গণহত্যা বাড়িয়ে দেয়। ‘আমি জানি না কেন।’