ঢাকা, ৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : পোল্যান্ড রোববার মধ্যরাতে থেকে জার্মানি এবং লিথুয়ানিয়ার সাথে সাময়িকভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রবর্তন করেছে। ‘অবৈধ অভিবাসন’ নিয়ন্ত্রণের জন্য এগুলো প্রয়োজন বলে তারা উল্লেখ করেছে।
ওয়ারশ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
এই ইস্যুটি জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। জাতীয়তাবাদী কারোল নওরোকি ‘পোল্যান্ড প্রথম, পোলবাসী অগ্রাধিকার’—এই স্লোগান নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সমর্থিত প্রার্থীকে অল্প ব্যবধানে পরাজিত করেন।
বর্তমানে সরকার অভিবাসনের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস সিমোনিয়াক রোববার বলেছেন, ‘অবৈধ অভিবাসন’ মোকাবেলা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে পোল্যান্ড এবং অন্যান্য ইইউ নাগরিকরা অসুবিধার সম্মুখীন হবেন না।
মন্ত্রী বলেন, জার্মানি সীমান্তে মোট ৫২টি এবং লিথুয়ানিয়ার সাথে সীমান্তে মোট ১৩টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকবে তবে তা বাড়ানো যেতে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এগুলোতে বেশিরভাগই স্থান পরিদর্শন করা হবে। বিশেষ করে বেশ কয়েকজনকে বহনকারী যানবাহনসহ।
২০২৩ সালের নভেম্বরে জার্মানি পোল্যান্ডের সীমান্তে অস্থায়ী চেকপয়েন্ট পুনরায় চালু করে।
গত মাসে ওয়ারশ বার্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করে যে তারা পোল্যান্ড থেকে আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের সীমান্ত পেরিয়ে ফেরত পাঠাচ্ছে।
টাস্ক বলেন, ‘জার্মানির পক্ষ এখন আসলে আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করতে বা অন্য ধরণের মর্যাদা পেতে জার্মানিতে আসা অভিবাসীদের প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করছে।’
পোল্যান্ডের মতে, বেলারুশ থেকে আসা অভিবাসীদের প্রবেশ বন্ধ করার জন্য লিথুয়ানিয়ার সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ চালু করা হয়েছিল।
জুনের শেষের দিকে, একটি অতি-ডানপন্থী দলের সদস্যরা সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থানে ‘নাগরিকদের টহল’ স্থাপনের জন্য জড়ো হয়েছিল, যাকে সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে এটি অবৈধ।
জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে বলেছে, তারা একটি ভাল যৌথ সমাধান খুঁজে বের করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
জার্মানরা যৌথ টহলের প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু পোলিশরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে।