ঢাকা, ৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): জাতিসংঘের দূত মারিয়া অ্যাঞ্জেলা হোলগুইন সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, জাতিসংঘ সাইপ্রাসে দীর্ঘদিন ধরে থেমে থাকা শান্তি আলোচনা আবারও সচল করতে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে দ্বীপটির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নেতার বৈঠকে একটি ‘অগ্রগতি’ নিশ্চিত করতে চায়।
নিকোসিয়া থেকে এএফপি জানায়, তিনি এদিন পৃথকভাবে সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস খ্রিস্তোদুলিদিস ও তুর্কি-সাইপ্রিয়ট নেতা এরসিন তাতারের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা রেখা অতিক্রম করে একদিনে শাটল কূটনীতি চালান।
তাতারের সঙ্গে বৈঠকের পর হোলগুইন বলেন, ‘জাতিসংঘ এই যে চেষ্টা করছে, তা আসলে এই দ্বীপের মানুষের মঙ্গল ও উন্নত জীবনের জন্য। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি—জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি এ নিয়েই, এবং আশা করি নেতারা বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন, যাতে আমরা আগামী সপ্তাহে ফলাফল দেখতে পাই।’
এই বৈঠকগুলো আসন্ন ১৬-১৭ জুলাই নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় আলোচনার প্রস্তুতি, যেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় পক্ষের নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
গত মার্চে জেনেভায় হওয়া এক বৈঠক দীর্ঘ সময় পর দুই পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আনে। সেসময় উভয়পক্ষ কয়েকটি আস্থাসৃষ্টি পদক্ষেপে একমত হয়। যেমন, বিভক্ত রেখায় আরও পারাপার পয়েন্ট চালু, সৌরশক্তিতে সহযোগিতা এবং ল্যান্ডমাইন অপসারণ। গুতেরেস তখন এটিকে ‘নতুন পরিবেশ’ ও ‘নবচেতনার প্রকাশ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
হোলগুইন বলেন, ‘আমি আশা করি, মার্চে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ক্ষেত্রে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পাব।’
নিকোসিয়ায় গ্রিসের তৎকালীন সামরিক জান্তা সমর্থিত অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের সামরিক আগ্রাসনের ফলে সাইপ্রাস ১৯৭৪ সাল থেকে বিভক্ত। ১৯৮৩ সালে তুরস্ক-সমর্থিত ‘উত্তর সাইপ্রাস তুর্কি প্রজাতন্ত্র’ গঠিত হয়, যেটিকে কেবল আঙ্কারা স্বীকৃতি দিয়েছে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এবং দ্বীপটির দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রীক-সাইপ্রিয়ট অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
সবশেষ বড় শান্তি আলোচনা ২০১৭ সালের জুলাইয়ে সুইজারল্যান্ডের ক্রান-মন্টানায় ভেঙে পড়ে।