ঢাকা, ৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা আক্রান্ত বুরকিনা ফাসোতে এক ভয়াবহ হামলায় সাত পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন সৈন্য নিহত হয়েছে। এ হামলার জন্য জিহাদিদের দায়ী করা হচ্ছে। স্থানীয় ও নিরাপত্তা সূত্র সোমবার এএফপিকে একথা জানিয়েছে।
নাইজার সীমান্তবর্তী এলাকায় পূর্বাঞ্চলীয় ফাদা এন’গৌরমা শহরের কাছে একটি পুলিশ পোস্ট লক্ষ্য করে দুইটি হামলা চালানো হয়।
ওই অঞ্চলে অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘গত সোমবার, শহরের উত্তরে ফাদা এন’গৌরমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ পোস্টে সন্ত্রাসীরা আক্রমণ শুরু করে।’
এএফপি’র দেখা একটি সরকারী নথিতে পুলিশের মহাপরিচালক ওয়েনেলেবসিদা জিন-আলেকজান্দ্রে দারগা জানান, এই হামলায় সাত পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিন দিন পর, সন্ত্রাসীরা আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ করে। এবার তারা ভবনের ক্ষতি করে।’
ওই শিক্ষার্থী ৩০ জুনের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গ্রুপ জেনিম এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
বুরকিনাফের একটি নিরাপত্তা সূত্রের মতে, ৩০ জুন কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বুলসার কাছে একটি সেনা অবস্থান লক্ষ্য করে আরেকটি হামলা চালানো হয়। জেনিম ওই হামলারও দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে যে, জিহাদিরা হামলায় একজন সৈনিককে হত্যা করেছে এবং দুই বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবক বন্দি করেছে।
জেনিম একটি কুঁড়েঘরে বন্দি দুই যোদ্ধার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তারা সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন কর্তৃপক্ষকে ‘তাদের মুক্তির জন্য কাজ করার’ আহ্বান জানিয়েছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকার বুরকিনা ফাসোর যা ক্ষমতা গ্রহণ করে।
ওই সময় তারা সাহেল জাতির নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবুও দেশটি এখনও জিহাদি এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর আক্রমণে জর্জরিত।
সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এসিএলইডি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে সহিংসতায় দেশটিতে ২৬ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্য নিহত হয়েছে।
এই মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ঘটনা জান্তা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গত তিন বছরে ঘটেছে।
দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ জিহাদি হামলার বিষয়ে খুব কমই মন্তব্য করে থাকে।