টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় এখনো নিখোঁজ ১৭০, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা

বাসস
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ২১:১৯

ঢাকা, ৯ জুলাই, ২০২৫ (এএফপি) : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে চতুর্থ জুলাইয়ের ছুটির দিন আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৯-এ পৌঁছেছে। তবে উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা, এখনও নিখোঁজ থাকা বহু মানুষ জীবিত নেই, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের  হান্ট থেকে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবটের বরাতে এএফপি জানায়, এখনও ১৭০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে শুধু কের কাউন্টিতেই নিখোঁজ ১৬১ জন। এই কাউন্টিতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। ৯৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। কের অঞ্চলটি ‘ফ্ল্যাশ ফ্লাড অ্যালি’ নামে পরিচিত, যেটি আকস্মিক বন্যার জন্য কুখ্যাত।

আব্বট বলেন, ‘এই তালিকায় আরও নাম যুক্ত হতে পারে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো প্রতিটি নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা।’

কের কাউন্টির গুয়াদালুপ নদীর তীরে অবস্থিত ‘ক্যাম্প মিস্টিক’ গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে থাকা অন্তত ২৭ জন কিশোরী ও পরামর্শক (কাউন্সেলর) মারা গেছেন। এখনও  ওই ক্যাম্পের পাঁচজন শিক্ষার্থী ও একজন পরামর্শক নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া ক্যাম্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন এক শিশুও নিখোঁজ রয়েছে। অন্য জেলাগুলিতে আরও অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

টেক্সাস গেম ওয়ার্ডেনসের কর্মকর্তা বেন বেকার বলেন, উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করা হলেও কাদা, পানি ও ধ্বংসস্তূপের কারণে উদ্ধার কাজ খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ‘বিশাল ধ্বংসস্তূপের ভেতরে প্রবেশ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ,’ বলেন তিনি।

জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা (এনডব্লিউএস) জানায়, বুধবার হিল কান্ট্রি এলাকায় আরও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।

টেক্সাসের প্রতিবেশী রাজ্য নিউ মেক্সিকোর রুইডোসো শহরেও মঙ্গলবার আকস্মিক বন্যায় তিনজন মারা গেছেন। সেখানে নদীর পানি ছয় মিটার পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল, যা হলে রেকর্ড ভাঙবে বলে জানিয়েছে এনডব্লিউএস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন। উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ওরা পেশাদার, অনেক মানুষকে বাঁচিয়েছে।’

তবে সমালোচকরা ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থছাঁটাইকে এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করছেন। আবহাওয়া পূর্বাভাসে জনবল সংকট ও সংকেত সরবরাহব্যবস্থায় ঘাটতির বিষয়টিও সামনে এসেছে।

ক্লাইমেট সেন্ট্রালের আবহাওয়াবিদ শেল উইংকলি বলেন, চরম খরার ফলে শুকনো মাটি বৃষ্টির পানি শোষণ করতে পারেনি, যার ফলে এই মারাত্মক বন্যা সৃষ্টি হয়। ‘মে মাস থেকে এই অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে,’ বলেন তিনি।

সংস্থাটির মিডিয়া পরিচালক টম দি লিবার্টো জানান, ‘আবহাওয়া বিভাগে অভিজ্ঞ কর্মীর অভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আপনি অভিজ্ঞতাকে সহজে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদের সভাপতিসহ দুইজন কারাগারে
বিভিন্ন অপরাধে রাজধানীতে ২৬ জন গ্রেফতার
বিমান বাহিনীর ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান
উদ্ধার কার্যক্রমে স্থানীয় নৌকা ব্যবহারের ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি : ত্রাণ উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা রোম পৌঁছেছেন
‘মাধ্যমিক শিক্ষা’ ও 'কলেজ শিক্ষা ' নামে পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠায় ৬ সদস্যের কমিটি গঠন
ট্রাম্পের সঙ্গে আবারো জেলেনস্কির ফোনালাপ
সব জিম্মি ইসরাইলে পৌঁছলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
রাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা
আগামীকাল ঝালকাঠিতে দুদকের গণশুনানি
১০