ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): তিনটি বড় ধরনের উপকূলীয় বায়ুচালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে মিতসুবিশির সরে দাঁড়ানোর পরও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আশাবাদী জাপান। বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
টোকিও থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বুধবার মিতসুবিশি জানায়, উচ্চ ব্যয়ের কারণে প্রতিষ্ঠানটি এই প্রকল্পগুলো থেকে সরে যাচ্ছে। প্রকল্পগুলোর আওতায় মোট ১৩৪টি টারবাইন স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল, যা এক মিলিয়নেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারত।
এদিকে সরকারি মুখপাত্র ইওশিমাসা হায়াশি সাংবাদিকদের বলেন, নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প সফল বা ব্যর্থ হোক না কেন সরকার উপকূলীয় বায়ু বিদ্যুৎকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ উৎস হিসেবে বিবেচনা করে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে (জাপানের) প্রধান বিদ্যুৎ উৎসে পরিণত করার লক্ষ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, সরকার এ বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করবে। যার মধ্যে নিলাম ব্যবস্থার শর্তাবলি পুনর্বিবেচনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার কারণগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
জাপান চলতি বছর তাদের হালনাগাদ জ্বালানি পরিকল্পনায় ঘোষণা করেছে যে অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধান শক্তির উৎসে পরিণত করার প্রচেষ্টার একটি ট্রাম্প কার্ড।
বিশ্বে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের দিক থেকে জাপান পঞ্চম স্থানে রয়েছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও রাশিয়ার পরই তাদের অবস্থান। দেশটি আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
২০২৩ সালে জাপানের মোট বিদ্যুতের প্রায় ৭০ শতাংশই এসেছে কয়লা, গ্যাস ও তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে।
আগামী ১৫ বছরে এ হার কমিয়ে ৩০-৪০ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় টোকিও। একই সময়ে বায়ু বিদ্যুতের অংশীদারিত্ব বাড়িয়ে চার থেকে আট শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা বর্তমানে প্রায় এক শতাংশ।
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের প্রায় ১৫ বছর পর জাপান আবারও পারমাণবিক বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে, কারণ ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির লক্ষ্য কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন।