ঢাকা, ৩০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ভারতে রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির জম্মু ও কাশ্মীরে চার শিশুসহ কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার ভারতের শ্রীনগর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে ভারত-শাসিত অঞ্চলে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের ফলে প্রচণ্ড জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অনেক সেতু ভেঙে পড়েছে ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে এবং জরুরি সেবার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় দুর্যোগ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে রামবান ও রিয়াসি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে।
বুধবার জম্মুতে বৈষ্ণো দেবীর হিন্দু মন্দিরে যাওয়ার পথে ভূমিধসে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে যে, এই অঞ্চলের দুটি স্থানে মুষলধারে বৃষ্টিপাত রেকর্ড ভেঙেছে।
বুধবার জম্মু ও উধমপুরে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, জম্মুতে ২৯৬ মিলিমিটার (১১.৬ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৯৭৩ সালের রেকর্ডের চেয়ে নয় শতাংশ বেশি এবং উধমপুরে ৬২৯.৪ মিমি (২৪.৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বেশি।
জুন-সেপ্টেম্বরে বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই বন্যা এবং ভূমিধস দেখা দেয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্বল পরিকল্পিত উন্নয়ন এর পুনরাবৃত্তি, তীব্রতা ও প্রভাব বৃদ্ধি করছে।
১৪ আগস্ট তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট প্রবল স্রোত ভারত-শাসিত কাশ্মীরের চিসোটি গ্রামে কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত এবং আরো ৩৩ জন নিখোঁজ হয়।
৫ আগস্ট বন্যায় ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হিমালয় শহর ধরলি প্লাবিত হয়। সেই দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা ৭০ জনেরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।