ফ্রান্স ও জার্মানির পুতিনের ওপর চাপ বৃদ্ধির অঙ্গীকার

বাসস
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৪৮

ঢাকা, ৩০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ফ্রান্স ও জার্মানি শুক্রবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় না এলে, আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে।

ফ্রান্সের টলন থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, রাশিয়ার নেতা যদি ইউক্রেনীয় নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হন, তবে তা হবে পুতিনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে খেলা করার সামিল।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎজ  বলেন,  পুতিন এই ধরনের বৈঠক করতে ‘অনিচ্ছুক’ বলে মনে হচ্ছে এবং রাশিয়ার তিন বছরের আগ্রাসন দেখে মনে হচ্ছে যে, এটি ‘আরও অনেক মাস’ স্থায়ী হবে।

হোয়াইট হাউস পরে বলেছে যে ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ করার জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে এখনও কাজ করছেন।

ট্রাম্প তার দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার শুরুতে মস্কোর সঙ্গে সংলাপ পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নেন, তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী দেশটিতে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে সৃষ্ট সংঘাতের অবসান ঘটানোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গতি হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় ২৫ জন নিহত হওয়ার পর ফরাসি ও জার্মান নেতাদ্বয় ইউক্রেনে অতিরিক্ত বিমান-প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠাতে এবং পারমাণবিক প্রতিরোধ সম্পর্কে একটি কৌশলগত সংলাপ শুরু করতে সম্মত হয়েছেন।

পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ম্যাঁখো।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, এটি (পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক) অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু যদি না হয়, তবে আমরা প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞার জন্য চাপ দেব, যা রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করবে।’

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ স্টিফেন মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাম্প ‘হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য অবিচলভাবে কাজ করছেন এবং এটি এমন একটি বিষয় যা বিশ্বের সকলকে স্বাগত জানানো উচিত।’

এদিকে মের্ৎজ বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ‘আরও অনেক মাস ধরে চলতে পারে।’

‘আমরা ইউক্রেনকে পরিত্যাগ করব না’- বলে প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন তিনি। 

পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করার জন্য ‘কোনও প্রস্তুতি’ দেখাচ্ছেন বলে তিনি মনে করছেন না।

জার্মান চ্যান্সেলর আরো বলেন,‘সত্যি বলতে, এতে আমি অবাক হই না, কারণ এটি রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের কৌশলের অংশ।’

বৃহস্পতিবার কিয়েভের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলোয় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পরে ফরাসি দক্ষিণ বন্দর নগরী টলনে দুই নেতার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

রাশিয়ার ওই হামলা ছিল কয়েক মাসের মধ্যে রাজধানীতে সবচেয়ে মারাত্মক।

জেলেনস্কি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছেন, ওই ব্যারেজ হামলায় চার শিশুসহ  ২৫ জন নিহত ও আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি একেবারেই একটি জঘন্য হামলা যা পুতিনের হত্যা চালিয়ে যাওয়া, শান্তির দিকে পদক্ষেপ না নেওয়ার আসল উদ্দেশ্য ফুটিয়ে তুলেছে। 

টলনে ম্যাখোঁ ও মেৎর্জ নতুন সমর্থনের বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন।

তারা বলেন, ‘ফ্রান্স ও জার্মানি ইউক্রেনকে অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদান করবে।’ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন
দেশের প্রতিটি আন্দোলনে শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য : সেমিনারে বক্তারা
সিলেটে আরও ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : আহমদ আবদুল কাদের
ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে হামলার ভিডিওটি গুজব
ডেঙ্গুতে আজ ৩৬৭ জন আক্রান্ত
নির্বাচন কমিশন সার্ভিস গঠনের দাবি উপজেলা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাহমুদ উল্লাহর ইন্তেকাল
ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে চীনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
গাজা সিটি থেকে গণহারে লোকজন সরিয়ে নেওয়া অসম্ভব : রেডক্রস প্রধান
১০