সি'র সঙ্গে সম্পর্ক স্থিরভাবে বিকশিত করার আশা কিমের: কেসিএনএ

বাসস
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮

ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংকে বলেছেন যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে  অবিচলভাবে বিকাশ করা তাঁর ‘অটল ইচ্ছা’। বেইজিংয়ে দুই নেতার বৈঠকের পর শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (কেসিএনএ)  এ কথা জানিয়েছে।   

বেইজিং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (কেসিএনএ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চীনের রাজধানীর গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় কিম দুই দেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতির’ কথা নিশ্চিত করেন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র চীনে উত্তর কোরিয়ার  নেতা কিম জং উনের  বিরল এই বিদেশ সফরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে সি চিনপিংয়ের সাথে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে যোগ দেন।

কিমকে উদ্ধৃত করে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, উত্তর কোরিয়া-চীন সম্পর্ককে স্থিতিশীলভাবে উন্নীত করা ডব্লিউপিকে (কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির) এবং সরকারের দৃঢ় ইচ্ছা। এটি উত্তর কোরিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পর্ককে আরো উন্নত করার সরকারের দৃঢ় ইচ্ছাকেই প্রকাশ করে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, তিনি সি'কে বলেছেন,  ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যতই পরিবর্তিত হোক না কেন চীন ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক পরিবর্তন হতে পারে না’।  চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে কিমের প্রতি সি'র মন্তব্যের প্রায় হুবহু প্রতিধ্বনি।

১৯৫০-এর দশকে কোরীয় যুদ্ধের রক্তপাতের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং বিচ্ছিন্ন পারমাণবিক রাষ্ট্রটির জন্য কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সমর্থনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল বেইজিং।

তবে পিয়ংইয়ং সম্প্রতি রাশিয়ার আরো ঘনিষ্ঠ হচ্ছে । গত বছর দুই দেশ একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেন যুদ্ধে লড়াই করছে।

বৃহস্পতিবার কিম বলেন, পিয়ংইয়ং তার সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষায় চীনের অবস্থান ও প্রচেষ্টাকে ‘অবিচ্ছিন্নভাবে সমর্থন এবং উৎসাহিত’ করবে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সি চিনপিং কিমকে বলেছেন যে দুই দেশের উচিত আন্তর্জাতিক বিষয়ে সমন্বয় জোরদার করা এবং ‘তাদের অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করা’।

কিম মঙ্গলবার তার মেয়ে কিম জু এই-কে নিয়ে বেইজিংয়ে পৌঁছেন। এটি ছয় বছরের মধ্যে তার দ্বিতীয় বিদেশ সফর এবং ২০১৯ সালের পর প্রথম চীন সফর।

বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভির দেওয়া একটি ভিডিওতে কিম বলেন, ‘ছয় বছর পর চীন সফরে এসে, চীন কীভাবে রূপান্তরিত হয়েছে এবং স্বীকৃতির বাইরেও উন্নত হয়েছে তা দেখে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছি’।

তিনি বলেন, ‘যা বদলায়নি তা হল উষ্ণ অভ্যর্থনা, পৃথিবী যতই বদলে যাক না কেন, উত্তর কোরিয়া এবং চীনের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট থাকবে।’

ভিডিওটিতে, সি ২০১৯ সালে তার নিজের উত্তর কোরিয়া সফরের কথাও স্মরণ করে বলেন, তিনি যেখানেই গেছেন সেখানেই ‘দৃঢ় আত্মীয়তার অনুভূতি’ অনুভব করেছেন।

কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর কোরিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য তার ব্যক্তিগত ট্রেনে বেইজিং ত্যাগ করেছেন’। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সুনামগঞ্জে ভারতীয় গরু আটক
সাবেক এমপিসহ আওয়ামী লীগের আরও ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার
কুমিল্লায় মাদকসহ কারবারি আটক
যুক্তরাষ্ট্রে জাপানি গাড়ির শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে আনলেন ট্রাম্প
জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দেড় লাখ পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ
হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণে সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবে লেবানন
ফেনীতে তথ্য কর্মকর্তাদের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
আফগানিস্তানে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠাল বাংলাদেশ সরকার
সুন্দরবনে কুমির নিয়ে গবেষণা 
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী শান্তিপূর্ণ উদযাপনে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা
১০