ঢাকা, ৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর কেন্দ্রস্থলে শনিবার প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও তার পরপরই গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। আল-শাবাব পরে এক বিবৃতিতে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনাটি ডিটেনশন সেন্টারের কাছে ঘটেছে। ওই ডিটেনশন সেন্টারে সোমালিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা প্রায়ই ইসলামপন্থী আল-শাবাব জঙ্গিদের আটক রাখা হয়।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের দরিদ্র ও অস্থিতিশীল দেশ সোমালিয়ায় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জিহাদি গোষ্ঠীটির এটি নতুন হামলা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে হামলা শুরু করে আল-শাবাব এবং এরপর থেকে তারা বহু শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এই হামলাগুলো ২০২২ ও ২০২৩ সালে সোমালি সরকারের সামরিক অভিযানে অর্জিত অগ্রগতিকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে উল্টে দিয়েছে।
বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে জানিয়েছেন, বিশাল বিস্ফোরণের পর গোডকা জিলিকো আটক কেন্দ্রের উপরে ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠতে দেখা যায় এবং এরপর সেখানে গোলাগুলি শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জামাল নূরে এএফপিকে বলেন, ‘আমরা একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই এবং আমি আমার ভবনের ছাদে যাই। আমি সেখানে প্রচুর ধোঁয়া দেখতে পাই। গোডকা জিলিকোতে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়।’
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘বিস্ফোরণের কয়েক ঘন্টা পরেও নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ওই এলাকাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।
গোডকা জিলিকো কারাগারটি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছেই অবস্থিত।
আল-শাবাব তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘মুজাহিদিন যোদ্ধারা শহিদী অভিযান পরিচালনা করেছে এবং শনিবার গোডকা জিলিকো নামে পরিচিত কেন্দ্রে জোরপূর্বক প্রবেশ করেছে।’
আফ্রিকান ইউনিয়নের সামরিক বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সৈন্য সোমালিয়ায় মোতায়েন থাকলেও হামলার বৃদ্ধি ঠেকাতে পারেনি।
হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮ মার্চের একটি বোমা হামলা। প্রেসিডেন্টের বহরকে লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলায় অল্পের জন্য ব্যর্থ হয়।
এছাড়াও এপ্রিল মাসে মোগাদিশুর বিমানবন্দরে একাধিক হামলা চালানো হয়।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সত্ত্বেও, সোমালি প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ আগামী বছর দেশের প্রথম সরাসরি নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।