ঢাকা, ৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হাইয়া পূর্ব-ধারণকৃত এক বিবৃতির মাধ্যমে নীরবতা ভেঙেছেন। শনিবার রাতে কাতারের আল আরাবি টেলিভিশন নেটওয়ার্কে তার সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হয়েছে।
গত মাসে দোহায় ইসরাইলের হামলায় তিনি ও সংগঠনটির অন্যান্য নেতারা টার্গেট হওয়ার পর এটিই ছিল তার প্রথম টেলিভিশন উপস্থিতি।
দোহা থেকে এএফপি জানায়, দোহায় ইসরাইলের হামলায় ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই হামলার নিন্দা জানান। এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের শীর্ষ নেতারা ওই হামলা থেকে বেঁচে গেছেন।
সাক্ষাৎকারে এই হামাস নেতা বলেন, দোহায় নিহতদের মধ্যে তার ছেলে ও গত প্রায় দুই বছরের বিধ্বংসী গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, তাদের রক্ত বিজয়ের পথ প্রশস্ত করবে, জেরুজালেমের পথে নিয়ে যাবে, দখলদারদের জন্য লজ্জার কারণ হবে এবং জাতির মর্যাদা ও বিজয়ের পথ তৈরি করবে।
হামাসের আলোচকরা রোববার মিশরে গাজা যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনায় বসবেন। হামাসের আলোচকরা যখন কায়রোর উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন, তখন ভিডিওটি সম্প্রচার করা হয়।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আশা করেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বন্দি বিনিময় পরিকল্পনায় হামাসের ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার পর এ কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বন্দি বিনিময় পরিকল্পনায় ইসরাইলি কারাগারে আটক শত শত ফিলিস্তিনিকে মুক্তির বিনিময়ে বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মিশরের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, যুদ্ধরত দুই পক্ষ রোববার ও সোমবার পরোক্ষ বৈঠকে বসবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকীর ঠিক আগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
হাইয়া সাক্ষাৎকারে আলোচনার বিষয় বা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করেননি। বরং তিনি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রায় দুই বছর ধরে চলা ভয়াবহ ইসরাইলি আক্রমণে গাজাবাসীর বিপুল ভোগান্তির কথাই তুলে ধরেন।
কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার দোহা ও কায়রোতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি আনতে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়েছে।