ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): প্রায় এক মাসে আগে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে খনি ধসে নিখোঁজ হওয়া শেষ পাঁচ শ্রমিকের মরদেহ সোমবার উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন বিদেশি রয়েছেন।
খনির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রিপোর্ট ইন্দোনেশিয়া এ তথ্য জানায়।
জাকার্তা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল পাপুয়া প্রদেশের টেমবাগাপুরায় গ্রাসবার্গ ব্লক গুহার আন্ডারগ্রাউন্ড স্বর্ণ ও তামার খনির পাঁচটি অংশের একটির উত্তোলন কেন্দ্র থেকে মাটি ও পাথর ধসে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সাতজন আটকা পড়েন। প্রায় দুই সপ্তাহ পর ২০ সেপ্টেম্বর দুই শ্রমিকের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া পাওয়া যায়। বাকি পাঁচ শ্রমিকের সন্ধানে প্রায় এক মাস ধরে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।
ফ্রিপোর্ট জানায়, খনি ধসে পড়ার পর প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায় এবং উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে শ্রমিকরা ভেতরে আটকা পড়েন।
২৭ দিন ধরে একটানা প্রচেষ্টা চালানোর পর রোববার উদ্ধারকারীরা গ্রাসবার্গ ব্লক গুহায় মাটির স্তূপ থেকে পাঁচজন শ্রমিকের মৃতদেহ খুঁজে বের করেন।
কোম্পানিটি জানায়, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজন দক্ষিণ আফ্রিকান ও একজন চিলির নাগরিকও রয়েছেন।
কোম্পানিটির প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর টনি ওয়েনাস এক বিবৃতিতে বলেন, জটিল অবস্থান ও বিপুল পরিমাণ, প্রায় লাখ টন কাদামাটি প্রবাহিত হওয়ায় উদ্ধার কাজ বিলম্বিত হয়।
তিনি জানান, একজনের মৃতদেহ পাপুয়ায় সমাহিত করা হবে। বাকিদের বিমানে করে তাদের নিজ নিজ শহরে নেওয়া হবে।
উদ্ধার কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণে কোম্পানিটি গত মাসে খনিতে কার্যক্রম স্থগিত করেছে। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী বছরের শুরুতে সেখানে পুনরায় উৎপাদন শুরু হবে।
গ্রাসবার্গ ব্লক গুহা হলো ফ্রিপোর্ট ইন্দোনেশিয়া পরিচালিত তিনটি খনির মধ্যে একটি, যা বিশ্বের বৃহত্তম সোনা ও তামা কমপ্লেক্সগুলোর মধ্যে একটি।