ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞাকৃত আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছেছেন। ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটিই কোন শীর্ষ তালেবান নেতার প্রথম ভারত সফর।
২০২১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আমির খান মুত্তাকিকে বিদেশে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার পর এই সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুত্তাকির এই সফরকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
ভারত তালেবান সরকারের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও গভীর হতে যাচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে মুত্তাকিকে ‘উষ্ণ স্বাগত’ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
মুত্তাকি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিনি জানুয়ারিতে দুবাইয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
কোনও পক্ষই আলোচনার এজেন্ডা প্রকাশ করেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন, সম্ভবত বাণিজ্য ও নিরাপত্তা আলোচ্যসূচির অগ্রভাগে থাকবে। যদিও আপাতত ভারতের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক প্রবীণ দোন্থী এএফপিকে বলেন, ‘নয়াদিল্লি কাবুলে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী এবং তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও পাকিস্তানও এ ব্যাপারে পিছিয়ে থাকবে না।’
রাশিয়ায় বৈঠকের পর মুত্তাকির এই সফরটি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত একমাত্র রাশিয়াই তালেবান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
দোন্থি বলেন, তালেবানরা ‘কূটনৈতিক স্বীকৃতি ও বৈধতা’ চাইছে।
কাবুলে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত রাকেশ সুদ এএফপিকে বলেন, ‘ভারত তালেবানদের কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছে না।’
ভারত দীর্ঘদিন ধরে হাজার হাজার আফগানকে আশ্রয় দিয়েছে, যাদের অনেকেই তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাস ২০২৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। যদিও মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদে কনস্যুলেটগুলো এখনও সীমিত পরিষেবা পরিচালনা করে।
ভারত বলেছে, কাবুলে তার মিশন মানবিক সাহায্য সমন্বয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ।