ঢাকা, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : লিবিয়ায় গত আগস্ট মাসে জাতিসংঘ মিশনের ওপর রকেট হামলার চেষ্টার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
প্রসিকিউটরের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ মিশনের ওপর চালানো ওই হামলায় কোনও প্রাণহানি বা ক্ষতি না হলেও, হামলায় জড়িত দুই সন্দেহভাজনকে সরকারি কৌঁসুলিরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং বিচার-পূর্ব আটক রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে অভিযুক্তদের পরিচয় বা হামলার উদ্দেশ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে তাদের বিরুদ্ধে ‘অপরাধ সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এ বিষয়ে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।
আগস্ট মাসে, জাতিসংঘের লিবিয়া সহায়তা মিশন (ইউএনএসএমআইএল) জানিয়েছে, তাদের ত্রিপোলি সদর দপ্তরে একটি রকেট হামলা চালানো হয়, যদিও এতে কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা একটি অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউএনএসএমআইএল-এর সদর দপ্তরকে লক্ষ্য করে চালানো ‘একটি হামলার চেষ্টা’ ব্যর্থ করে দেয়।
মিশন জানিয়েছে, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন ইউএনএসএমআইএল প্রধান হান্না টেটেহ নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিফ করছিলেন।
ত্রিপোলিভিত্তিক সরকার তখন এ ঘটনাকে ‘একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা’ ও ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে লিবিয়ার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে একটি গুরুতর কর্মকাণ্ড’ হিসেবে নিন্দা জানায়।
সরকার আরও জানায়, তারা ‘পেশাদার ও একীভূত নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে’ এবং দেশে ‘অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিস্তার রোধে’ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
লিবিয়া বর্তমানে বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে—ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার প্রধান আব্দুল হামিদ দবেইবাহর নেতৃত্বে একটি সরকার এবং পূর্বাঞ্চলে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসন বিদ্যমান রয়েছে।