কোভিড-১৯ ইঁদুরের শুক্রাণুতে পরিবর্তন আনে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াতে পারে : গবেষণা

বাসস
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৮

ঢাকা, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : কোভিড-১৯ সংক্রমণ ইঁদুরের শুক্রাণুতে এমন পরিবর্তন আনে যা তাদের সন্তানদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াতে পারে। শনিবার প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর মহামারীর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। 
সিডনি থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত ফ্লোরি ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড মেন্টাল হেলথের গবেষকরা পুরুষ ইঁদুরকে কোভিড সৃষ্টিকারী ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত করেছেন। তাদের স্ত্রী ইঁদুরের সাথে মিলিত করেছেন এবং তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব মূল্যায়ন করেছেন।

গবেষণার প্রথম লেখক এলিজাবেথ ক্লিম্যান বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি যে, সংক্রামিত পিতাদের সন্তানদের তুলনায় ফলস্বরূপ সন্তানরা বেশি উদ্বিগ্ন আচরণ দেখিয়েছে’।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিড-সংক্রামিত পিতাদের সমস্ত সন্তানই এই পরিবর্তনগুলো প্রদর্শন করেছে। যা ‘পিয়ার-রিভিউ জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষ করে, নারীদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাসের কিছু জিনের কার্যকলাপে ‘উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন’ দেখা গেছে, যা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে।

সহ-সিনিয়র লেখক ক্যারোলিনা গুবার্ট বলেছেন, ‘এপিজেনেটিক উত্তরাধিকার এবং পরিবর্তিত মস্তিষ্কের বিকাশের মাধ্যমে আমরা সন্তানদের মধ্যে যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছি তা বৃদ্ধি করতে পারে’।

গবেষকরা বলেছেন, তাদের কাজটিই প্রথম যা পরবর্তী প্রজন্মের আচরণ এবং মস্তিষ্কের বিকাশের ওপর কোভিড সংক্রমণের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা গেছে।

ইনস্টিটিউট বলেছে, এটিতে দেখা গেছে, ভাইরাসটি পিতার শুক্রাণুর ‘আরএনএ’-তে অণু পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে কিছু ‘মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ বলে পরিচিত জিনের নিয়ন্ত্রণে জড়িত’।

প্রধান গবেষক অ্যান্থনি হান্নান বলেছেন, ‘এই অনুসন্ধানগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, কোভিড-১৯ মহামারী ভবিষ্যত প্রজন্মের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে’।

তিনি আরো বলেছেন, তবে আরো গবেষণার প্রয়োজন ছিল, যার মধ্যে একই পরিবর্তন মানুষের মধ্যে ঘটে কিনা তাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

হান্নান বলেছেন, ‘যদি আমাদের অনুসন্ধানগুলো মানুষের মধ্যে অনুবাদ হয়, তবে এটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ শিশু এবং তাদের পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যা জনস্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব পড়বে’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০২০ সালের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া কোভিড মহামারী বিশ্বব্যাপী ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা সম্ভবত আরো অনেক বেশি হতে পারে।

এই রোগ এবং এর প্রতি সরকারী প্রতিক্রিয়া উভয়ই বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে বলে জানা গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সময়ে আইসোলেশনে বাধ্য হওয়া তরুণরা সবচেয়ে বেশি মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

২০২৩ সালে নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার জার্নালে প্রকাশিত ১৫টি দেশের প্রায় ৪০টি গবেষণার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শিশুরা এখনো মহামারী-যুগের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাঘাতের কারণে সৃষ্ট শেখার ব্যবধান পূরণ করতে পারেনি। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গুম-খুনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচার করতে হবে : আখতার হোসেন
সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব
মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন : রাবিতে সেমিনারে বক্তারা
দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম
বিএনপি হচ্ছে সংস্কারের জন্মদাতা দল : মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশকে ১৯১ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান
তখন তো জানতাম না আমাকের বর্ডার ক্রস করানো হচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমদ 
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার : নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুইদিনে ডিএমপির ২,৫৮৬ মামলা 
সরকার সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল : পার্বত্য উপদেষ্টা 
১০