ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা ‘ভাল উদ্দেশ্যপূর্ণ’ হলেও, এটি অনলাইনে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না বলে সতর্ক করেছে ইউটিউব। সোমবার ভিডিও স্ট্রিমিং জায়ান্ট ইউটিউব এ সতর্কতার কথা জানায়।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ গত বছর এমন এক যুগান্তকারী আইন প্রকাশ করেছেন যা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ করবে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
আইন লঙ্ঘনের জন্য ফেসবুক, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোকে জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাওয়া ইউটিউব যুক্তি দিয়ে বলেছে, এটি কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নয়।
কোম্পানির স্থানীয় মুখপাত্র রেচেল লর্ড সোমবার দেশটির সিনেট কমিটিতে বলেন, আইনটি ‘ভাল উদ্দেশ্যপূর্ণ’ হলেও এটি ‘অপ্রত্যাশিত পরিণতি’ ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এই আইনটি বাস্তবায়ন করা কেবল অত্যন্ত কঠিনই হবে না, এটি অনলাইনে শিশুদের নিরাপদ করার প্রতিশ্রুতিও পূরণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘সুপ্রণোদিত আইন শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের অনলাইনে নিরাপদ রাখার জন্য শিল্পের প্রচেষ্টার ওপর ভিত্তি করে একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। তবে অনলাইনে শিশুদের নিরাপদ রাখার সমাধান তাদের অনলাইনে থাকা থেকে বিরত রাখা নয়।’
লর্ড বলেন, ইউটিউবকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখা উচিত, কারণ এটি সোশ্যাল মিডিয়া পরিষেবা নয়।
অস্ট্রেলিয়া ইন্টারনেটের ক্ষতি রোধে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় শীর্ষস্থানীয়, তবে বর্তমান আইনগুলো কীভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করছে না।
কিছু বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই আইনটি শুধুমাত্র প্রতীকী হতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো পূর্বে আইনগুলোকে ‘অস্পষ্ট’, ‘সমস্যাযুক্ত’ এবং ‘তাড়াহুড়া করে তৈরি বলে বর্ণনা করেছে।
ই-সেফটি কমিশনার নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে ৪৯.৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা করতে সক্ষম হবে।
গত মাসে, সরকার বলেছে যে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সমস্ত ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই করতে হবে না। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সনাক্ত এবং নিষ্ক্রিয় করার জন্য ‘যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ’ নিতে হবে।