ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করার পর রাশিয়া সোমবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
আগস্টে আলাস্কায় পুতিনের সাথে তার বৈঠকে শান্তি চুক্তি না হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ইউরোপীয় মিত্রদের মাধ্যমে কিয়েভে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।
মস্কো এএফপি এ খবর জানায়।
তিনি রোববার বলেছেন, রাশিয়া যদি আক্রমণাত্মক আচরণ বন্ধ না করে তবে সম্ভাব্য সরবরাহ সম্পর্কে তিনি পুতিনকে সতর্ক করতে পারেন।
কিন্তু ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ফোনে কথোপকথনের বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট চুক্তি হয়নি’।
তিনি আরো বলেছেন, প্রয়োজন হলে ‘তাৎক্ষণিকভাবে এই ধরনের কথোপকথন আয়োজনের অনেক সুযোগ রয়েছে’।
রাশিয়া বারবার বলেছে, তারা অস্ত্র সরবরাহকে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হিসেবে দেখবে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা ২,৫০০ কিলোমিটার (১,৫০০ মাইল), যার ফলে রাজধানী মস্কোসহ পশ্চিম রাশিয়ার বেশিরভাগ অংশ আঘাত হানতে পারে।
এগুলো প্রযুক্তিগতভাবে পরমাণু অস্ত্র বহন করতেও সক্ষম এবং মস্কো বলেছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রের যেকোনো উৎক্ষেপণকে পরমাণু অস্ত্রে ভরা বলে বিবেচনা করবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সোমবার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এটি সরাসরি ট্রাম্পের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারে।
তিনি বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান।
তিনি টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ সবার জন্য খারাপ হতে পারে।’ ‘এবং সর্বোপরি, ট্রাম্পের নিজের জন্য।’
আগস্টে, মার্কিন নেতা ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার জন্য মস্কোর ওপর চাপ বাড়ানোর পর ট্রাম্প এবং মেদভেদেভ তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মেদভেদেভ তার উগ্র এবং উস্কানিমূলক পশ্চিমা বিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত।
ট্রাম্প বলেছেন, সামরিক সাবমেরিন পুনরায় মোতায়েন করে এবং সতর্ক করে মেদভেদেভের বক্তব্য ‘অনিচ্ছাকৃত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে’।