ঢাকা, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, গাজায় নিহত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চায় হামাস। তবে অল্প কয়েকটি মৃতদেহ ফেরত পাওয়ায় ইসরাইল ফের সামরিক অভিযান শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
মার্কিন উপদেষ্টারা আরও জানান, ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ড ‘ধুলোয় মিশে যাওয়ায়’ সেখানকার ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহগুলো বের করে আনা কঠিন। এই কাজের জন্য বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন।
চুক্তি অনুযায়ী হামাস প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের কাছ থেকে ক্রমাগত শুনছি যে তারা চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চায়। তারা চায় এই বিষয়ে চুক্তিটি সম্পূর্ণ হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু চারটি মরদেহ ফেরত দেওয়ায় অনেকেই ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছিল। তারা চাইলে এখানেই থেমে যেতে পারত। কিন্তু তারা পরদিনই মরদেহ ফেরত দিয়েছে, তারপর আবার দিয়েছে। আমরা যখনই গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছি, তারা কাজ করেছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও বলেন, হামাস মরদেহ খুঁজে বের করতে ‘খনন’ করছে।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তারা খুঁড়ছে। অনেক মরদেহ খুঁজে পাচ্ছে।’
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বুধবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস যদি যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানে, তবে আবারও হামলা শুরু হবে।
বুধবার রাতে আরও দুইটি মরদেহ ফেরত দেয় হামাস। তার আগে ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে সাতজনের মরদেহ ফেরত দিয়েছিল। সঙ্গে আরও একটি মরদেহ ছিল, যা ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী কোনো জিম্মির নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, মরদেহ উদ্ধার অত্যন্ত জটিল কাজ। কারণ, গাজা ভূখণ্ড পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
হামাসও বলেছে, বিশেষ যন্ত্রপাতি ছাড়া মরদেহ উদ্ধার সম্ভব নয়।
আরেক উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজা ভূখণ্ডের সবকিছু গুঁড়িয়ে গেছে, যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য।’
মরদেহ শনাক্ত ও উদ্ধার কাজে সহায়তা করলে পুরস্কার দেওয়ার একটি পরিকল্পনা নিয়েও ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।
এই চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ তুরস্ক, গাজায় মরদেহ উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে।
এছাড়া, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কাতার ও আজারবাইজান গাজায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।