ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : দীর্ঘ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুত লাইন মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা শনিবার একথা জানিয়েছে। ওই অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে যুদ্ধবিরতি চলছে।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
২০২২ সালের মার্চ থেকে রুশ বাহিনীর দখলে থাকা স্থানটি ২৩ সেপ্টেম্বর দশমবারের মতো গ্রিডের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে এই স্থাপনা থেকে জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহে দীর্ঘ সময় বিঘ্ন ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় যুদ্ধবিরতি অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরে অব-সাইট বিদ্যুত লাইন মেরামত শুরু হয়েছে’।
আইএইএ জানিয়েছে, ‘জটিল মেরামত পরিকল্পনা’ এগিয়ে নেওয়ার জন্য উভয় পক্ষই সংস্থার সাথে কাজ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘পরমাণু নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য অব-সাইট বিদ্যুত পুনরুদ্ধার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সংস্থাটি কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। তারা আগে বলেছিল, কেন্দ্র থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ফ্রন্ট লাইনের উভয় পাশে মেরামত প্রয়োজন।
বিভ্রাটের পর থেকে ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রটি ব্যাকআপ ডিজেল জেনারেটর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
আইএইএ জানিয়েছে, চুলি গুলোকে কার্যকরভাবে ঠান্ডা করার মাধ্যমে নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে।
ডিনিপার নদীর তীরে এনারহোদার শহরের কাছে অবস্থিত পরমাণু কেন্দ্রটি ফ্রন্ট লাইনের কাছাকাছি।
যুদ্ধের আগে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বিদ্যুত উৎপাদনকারী এর ছয়টি চুল্লি মস্কোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
তবে, দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য কেন্দ্রটির শীতলকরণ এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন।
অক্টোবরের শুরুতে মস্কো দাবি করেছিল, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উদ্বেগের পরে জাপোরিঝিয়ায় পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে।
মস্কো এবং কিয়েভ বারবার একে অপরকে এই স্থানে আক্রমণ করে পরমাণু বিপর্যয়ের ঝুঁকি নেওয়ার অভিযোগ করেছে এবং সর্বশেষ বিদ্যুত বিভ্রাটের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে।