ইরানের নতুন মেট্রো স্টেশনে ভার্জিন মেরির প্রতি সম্মান প্রদর্শন

বাসস
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৫৫

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ইরানে রাষ্ট্রীয় ধর্ম শিয়া ইসলাম হলেও তেহরানের নতুন মরিয়ম মোগাদ্দাস মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করলে আপনার মনে হতে পারে যেন আপনি কোনো খ্রিস্টান গির্জার ভেতরে পা রাখছেন।

তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ফারসি মরিয়ম মোগাদ্দাসের অর্থ ‘পবিত্র মেরি’ এবং স্টেশনের খিলানযুক্ত ও বিশাল খোলা জায়গায় একটি গম্বুজ রয়েছে, যা ফারসি নকশা দিয়ে সজ্জিত, ধর্মীয় ফ্রেস্কো এবং যীশু
খ্রিস্টের মা মেরিকে সম্মান জানানো শিল্পকর্ম রয়েছে।

মরিয়ম ইসলামেও একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। এখানে শিল্পকর্মটিতে তাকে ‘চোখ বন্ধ করে প্রার্থনারত’ অবয়বে চিত্রিত করা হয়েছে, তার মাথার ঠিক ওপর দিয়ে একটি সাদা ঘুঘু উড়ছে।

প্ল্যাটফর্মের পাশে আরেকটি শিল্পকর্মে তার পুত্র যীশু খ্রিস্টকে এমনভাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যেন যাত্রীদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষমানদের ওপর তিনি নজর রাখছেন।

ইরানে ভার্জিন মেরির প্রতি সর্বজনীন সম্মান প্রদর্শন করা হয় এবং তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি যেকোনো ধর্মের বিশ্বাসীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম।

এই নির্মাণের নেপথ্যের শিল্পী  টিনা তারিঘ মেহর এএফপিকে বলেন, ‘এই স্টেশনে আপনি যা কিছু দেখবেন তা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, কেউ যখন এখান দিয়ে যান, তখন তারা বুঝতে পারেন যে আমাদের লক্ষ্য ছিল অন্যান্য ধর্ম, বিশেষ করে খ্রিস্টধর্মকে সম্মান করা।’

তিনি শনিবার স্টেশনের উদ্বোধনের আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেন ‘এই পাখি (সাদা ঘুঘু) পবিত্র আত্মার প্রতীক। জলপাই গাছ শান্তি ও বন্ধুত্বের প্রতীক।’

বহুসংস্কৃতির দেশ ইরানে রাষ্ট্রধর্ম শিয়া ইসলাম হলেও সংবিধানে সুন্নি ইসলাম, জরথুস্ট্রিয়ানিজম, ইহুদি ধর্ম এবং খ্রিস্টধর্মকে সংখ্যালঘু ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ইরানের সংসদে এসব ধর্মাবলম্বীদের প্রত্যেকের নিজস্ব প্রতিনিধি রয়েছে।

সপ্তম শতাব্দীতে আরবদের পারস্য বিজয়ের সময় ইসলামের উত্থানের অনেক আগে থেকেই বিশ্বের এই অঞ্চলে খ্রিস্টধর্ম বিদ্যমান ছিল।

তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি এক্স-এ বলেন, ‘এই স্টেশনটি সেই ঐশ্বরিক নারীর কথা স্মরণ করে যিনি তার পবিত্রতার মাধ্যমে এবং একজন মহান নবীর লালন-পালনের মাধ্যমে বিশ্বকে জাগিয়ে তুলেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তেহরানে ঐশ্বরিক ধর্মের সহাবস্থান প্রদর্শনের জন্য এই ভবনটি তৈরি করা হয়।’ 

১৯৯৯ সালে তেহরানে ইরানের প্রথম মেট্রো লাইন চালু হয়। বর্তমানে ইরানের রাজধানীতে প্রায় ১৬০টি কার্যকর স্টেশন রয়েছে। যার বেশ ক’টি তাদের শৈল্পিক সূক্ষ্মতা, আধুনিক স্থাপত্য ও ঐতিহ্যবাহী ফার্সি উপাদানের মিশ্রণে নির্মিত। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের নীতিমালা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি : চসিক মেয়র
চাঁদপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির দায়ে জরিমানা
শেষ দিন হ্যাটট্রিক করে এমএলএস গোল্ডেন বুট জয় করলেন মেসি
পিরোজপুরে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা, সিলগালা
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও চীনের পরিবহন মন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব
পিরোজপুরে বিএনপি'র আলোচনা সভা ও সদস্য ফরম বিতরণ
খুলনায় আয়বর্ধক কাজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা 
বরিশালে মোমের আলোয় আলোকিত কাউনিয়ার মহাশ্মশান
১০