
ঢাকা, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তৎপরতা ও সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহারের হুমকি দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন। ওই অভিযানকে তিনি বলেছেন যে এর লক্ষ্য হল ল্যাটিন আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের সরবরাহ বন্ধ করা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তিনজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করছে। জাতিসংঘের আইনে অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আরেক দেশের হস্তক্ষেপ কিংবা সশস্ত্র আক্রমণের হুমকি না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ওই তিন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে; যা ক্যারিবীয় অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে।’
সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ছয়টি নৌকা, যার বেশিরভাগই স্পিডবোট, মার্কিন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ওয়াশিংটন এমন কোনও প্রমাণ দেয়নি যে নিহত ব্যক্তিরা মাদক চোরাচালানকারী ছিলেন। ওই হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘অভিযোগ সত্য হলেও আন্তর্জাতিক জলসীমায় যথাযথ আইনি ভিত্তি ছাড়া প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন এবং তা বিচারবহির্ভূত হত্যার শামিল। যাদের জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক আদেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা জাতিসংঘের পক্ষে কথা বলেন না।
তারা বলেন, ট্রেন ডি আরাগুয়ার মতো গোষ্ঠী, যাকে ট্রাম্প ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ করছে না, যার অর্থ ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ প্রয়োগ করতে পারে না।
তারা আরও বলেন, ‘অন্য একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন বা সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি জাতিসংঘ সনদের আরও গুরুতর লঙ্ঘন।’ যার মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় মানবাধিকার রক্ষার বিশেষ দূতরাও অন্তর্ভুক্ত।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান পরিচালনার জন্য সিআইএকে অনুমোদন দিয়েছেন। তবে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি।