কোনো নতুন আক্রমণ হবে ‘আরেকটি ব্যর্থতা’: ইরান

বাসস
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২০:০৬
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান বলেছেন, তেহরানের সাথে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ‘পুনরায় শক্তি প্রয়োগের’ আশঙ্কা করছেন তিনি।

জুনের মাঝামাঝি সময়ে ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে একটি নজিরবিহীন বোমা হামলা চালায়। ফলে যুদ্ধ শুরু হলে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। 

তেহরান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

১২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইল ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি আবাসিক এলাকাগুলোকে টার্গেট করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।

এই সংঘাত এপ্রিলে শুরু হওয়া তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরমাণু আলোচনাকে ব্যাহত করে। ২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।

সুইস সংবাদপত্র ‘লে টেম্পসের’ সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ‘যদি কূটনীতি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমি পুনরায় শক্তি প্রয়োগের আশঙ্কা করছি’। তার এই সাক্ষাৎকারটি গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বৃহস্পতিবার বলেছেন, গ্রোসির মন্তব্য ‘উদ্বেগের বশে নাকি হুমকি হিসেবে’ তা স্পষ্ট নয়।

তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘কিন্তু যারা এই ধরনের হুমকি দিচ্ছেন তাদের বুঝতে হবে যে একটি ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি করলে তা কেবল আরেকটি ব্যর্থতার দিকেই নিয়ে যাবে’।

১২ দিনের যুদ্ধের পরপরই ইরান এবং আইএইএ’র মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তেহরান ইসরাইলি ও মার্কিন হামলার পর্যাপ্ত নিন্দা জানাতে আইএইএ’র ব্যর্থতার কারণে সংস্থার সাথে সহযোগিতা স্থগিত করে।

সেপ্টেম্বরে, ইরান এবং আইএইএ একটি নতুন সহযোগিতা কাঠামোতে সম্মত হয়। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির অধীনে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো ফিরিয়ে আনার পর তেহরান সেই কাঠামোটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে।

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে আসার পর এই চুক্তি কার্যকরভাবে বাতিল হয়ে যায়।

সাক্ষাৎকারে গ্রোসি বলেছেন, যুদ্ধের পর থেকে ইরান ‘পরিদর্শনের ওপর সীমা আরোপ করেছে কারণ, এটি তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ এবং শুধুমাত্র পরিদর্শকদের "অল্প পরিমাণে" অনুমতি দিয়েছে।

আইএইএ’র মতে, ইরানই একমাত্র দেশ যেখানে পরমাণু অস্ত্র নেই। তবে তারা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, যা বোমার জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।

গ্রোসি বলেছেন, ‘যদি ইরান পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ইরানের কাছে প্রায় ১০টি পরমাণু বোমা তৈরির পর্যাপ্ত উপকরণ থাকবে’।

তিনি বলেছেন, ‘তবে, আমাদের কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সেন্টমার্টিনে অসহায় জেলে পরিবারের পাশে তারেক রহমান
নরসিংদীর রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
অভুক্ত ও অসুস্থ ঘোড়ার পাশে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন
চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ
বাংলাদেশ জলবায়ু সংকটকে অর্থনৈতিক সুযোগে রূপ দিতে পারে: ডেনিশ রাষ্ট্রদূত
মোটরযান গতি সীমা নির্দেশিকা ২০২৪ বিষয়ে গণসচেতনতা ক্যাম্পেইন উদ্বোধন
অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
কোনো মামলায় পলাতক আসামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না
ভৈরবে ২১ বস্তা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ
১০