
ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি ব্যাংককে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। সরকারি সংবাদমাধ্যম শনিবার এ কথা জানিয়েছে। তেহরান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আয়ানদেহ’ ব্যাংকের দেশজুড়ে ২৭০টি শাখার নেটওয়ার্ক ছিল। যার মধ্যে কেবল রাজধানী তেহরানে ১৫০টি শাখা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এটি ঋণের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ব্যাংকটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৫.২ বিলিয়ন ডলার এবং ঋণের পরিমাণ প্রায় ২.৯ বিলিয়ন ডলার।
এএফপি’র একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, শনিবার তেহরানের একটি সাবেক ‘আয়ানদেহ ব্যাংক’ শাখার বাইরে আমানতকারীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু ব্যাংকটির গেটে তালা ঝুলানো দেখে আমানতকারী ও গ্রাহকদের মধ্যে দেখা গেছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। তখন পুলিশও সেখানে উপস্থিত ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘মেলি ব্যাংক’ বর্তমানে বিলুপ্ত ‘আয়ানদেহ’ ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করেছে। আমানতকারীরা তাদের সঞ্চয় পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে।
শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মেলির পরিচালক আবুলফাজল নাজারজাদেহ বলেছেন, ‘আয়ানদেহ ব্যাংক’ থেকে ‘মেলি ব্যাংকে’ স্থানান্তর এখন সম্পন্ন হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ইরানের অর্থ মন্ত্রী আলী মাদানীজাদেহ বলেছেন, ‘আয়ানদেহ ব্যাংকের গ্রাহকদের ‘চিন্তার কিছু নেই’।
সেপ্টেম্বরে, জাতিসংঘ ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।
ইসরাইলি ও মার্কিন বাহিনী ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালানোর পর থেকে পরমাণু আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কয়েক মাসের উত্তেজনাপূর্ণ কূটনীতির পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আলোচিত একটি চুক্তির অধীনে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সম্মত হওয়ার পর ২০১৫ সালে স্থগিত করা পদক্ষেপগুলোর ‘স্ন্যাপব্যাক’ হল এই নিষেধাজ্ঞাগুলো।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে চুক্তি থেকে সরে আসার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।