
ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ভেনিজুয়েলার উপকূল রক্ষায় সামরিক মহড়া পরিচালনা করছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতির মধ্যে সম্ভাব্য ‘গোপন অভিযানের’ বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা জোরদার করা যায়।
ভেনিজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো শনিবার একথা জানিয়েছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
পেন্টাগন এই অঞ্চলে একটি বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হল।
পদক্ষেপটি মাদক চোরাচালানকারী নৌযানগুলোতে চলমান মারাত্মক হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এসব হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছে।
পাদ্রিনো বলেন, ‘আমরা একটি মহড়া চালাচ্ছি, যা ৭২ ঘণ্টা আগে শুরু হয়েছে। এটি একটি উপকূলীয় প্রতিরক্ষা মহড়া, যাতে আমরা শুধু বৃহৎ পরিসরের সামরিক হুমকি থেকেই নয়, বরং মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্টের উদ্দেশ্যে পরিচালিত গোপন অভিযান থেকেও নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি।’
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ভেনিজুয়েলায় সিআইএ অভিযান অনুমোদন করেছেন এবং তিনি ক্যারিবীয় অঞ্চলে কথিত মাদক চক্রের বিরুদ্ধে স্থল হামলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
এতে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২ সেপ্টেম্বর থেকে মার্কিন বাহিনী ১০টি কথিত মাদকবাহী নৌকায় বোমা হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে আটটি হামলা ক্যারিবীয় সাগরে হয়েছে।
রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো একটি মাদক চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মাদুরো তার বিরুদ্ধে আনিত এই অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নয়টি উপকূলীয় রাজ্যে মোতায়েন করা সামরিক কর্মীদের এবং মাদুরোর বেসামরিক মিলিশিয়ার একজন সদস্যের একটি রাশিয়ান ইগলা-এস কাঁধে চালিত বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ছবি দেখানো হয়েছে।
পাদ্রিনো শুক্রবার বলেন, ‘সিআইএ কেবল ভেনেজুয়েলায় নয়, বিশ্বের সর্বত্র উপস্থিত রয়েছে। তারা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে গোপন অভিযানে অসংখ্য সিআইএ-অনুমোদিত ইউনিট মোতায়েন করতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের যে কোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’
আগস্ট মাস থেকে, ওয়াশিংটন মাদকবিরোধী অভিযানের জন্য আটটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ, ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিনের একটি বহর মোতায়েন করেছে। তবে কারাকাস দাবি করছে এসব মহড়া আসলে সরকার উৎখাতের একটি ছক।
বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড শিগগিরই ওই অঞ্চলে বহরে যোগ দেবে।
পাঁচ দিনের যৌথ মহড়ার জন্য যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি রোববার ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছাবে।