
ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আওতায় তারা আবারও গাজায় ত্রাণ পাঠাতে প্রস্তুত।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
ইসরাইল জিএইচএফ ছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।গত মে মাসে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য এই সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ও প্রচলিত ত্রাণ সংস্থাগুলো জিএইচএফ-এর কার্যক্রমের সমালোচনা করে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের তথ্য অনুযায়ী, জিএইচএফ-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র থেকে সহায়তা নিতে গিয়ে শত শত ফিলিস্তিনি ইসরাইলি হামলায় নিহত হন।
এ ঘটনায় আগস্টে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদকরা সংস্থাটি বন্ধ করার আহ্বান জানান।
জিএইচএফ-এর মুখপাত্র চ্যাপিন ফে বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির সময় সংস্থাটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছিল। এখন নতুন নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে তারা।
তিনি আরো বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে পরিস্থিতি এখনও অস্থির। তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে পারি।’
ফে বলেন, ‘আমাদের ত্রাণবাহী ট্রাক প্রস্তুত। গাজার নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি সহায়তা পৌঁছানোই এখন আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাঠপর্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রমের ধরণও বদলাবে।’
আগস্টে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল অভিযোগ করে, ত্রাণ বিতরণের আড়ালে জিএইচএফ-কে গোপনে ‘সামরিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।’
সংস্থাটি গাজায় চারটি বিতরণ কেন্দ্র চালু করেছিল। অথচ জাতিসংঘের ব্যবস্থায় তাদের আগে ৪০০টি কেন্দ্র ছিল।
গাজায় আটক থাকা জীবিত ইসরাইলি জিম্মিদের গত ১৩ অক্টোবর হামাস মুক্তি দেয়।
এরপর জিএইচএফ জানায়, খান ইউনিসে ‘এসডিএস৪’ নামের নিরাপদ ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রটি তারা বন্ধ করে দিয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইল একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে সই করে।
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা আশা করছেন, এটি যুদ্ধের অবসান ও পুনর্গঠনের পথে প্রথম ধাপ।