
ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : আইভরি কোস্টে শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলাসানে ওয়াত্তারা দ্বিধাগ্রস্ত বিরোধী দলের বিরুদ্ধে চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে দুই শীর্ষ প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আবিদজান থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ বিরোধী নেতা ইতোমধ্যেই ভোটকে ‘নির্বাচনী ডাকাতি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশে যেখানে বিরোধীরা জনপ্রিয় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
আবিদজানের শ্রমিক শ্রেণীর ব্লকহাউস জেলার ২৬ বছর বয়সী ছাত্র অলিভিয়ার বলেন,‘আমি ভোট দেইনি,’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার প্রার্থীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানায়, শনিবার মধ্য-পশ্চিম শহর গ্রেগবেউতে একটি গণপরিবহন থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৩ বছর বয়সী এক বালক নিহত হয়েছে। নির্বাচনের সময় এটি ছিল এই মাসে পঞ্চম মৃত্যু।
-ভোটদানের সরঞ্জাম চুরি-
২০১১ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ কোকো উৎপাদনকারী দেশটিতে ৮৩ বছর বয়সী ওয়াত্তারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। এ সময় দেশটি পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করে।
পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেওয়ায় সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয়। দেশটিতে প্রায় ৯০ লাখ আইভোরিয়ান ভোটার ভোট দিতে সক্ষম।
বিকেলে এএফপি’র অর্থনৈতিক রাজধানী আবিদজান পরিদর্শন করা ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভিড় ছিল না। তবে ওয়াত্তারার শক্ত ঘাঁটি দ্বিতীয় শহর বোয়াকেতে বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমের কিছু অংশে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভোট পর্যবেক্ষকরা সেখানে নির্বাচনী উপকরণ চুরির খবর জানিয়েছেন।
-নিষিদ্ধ সমাবেশ-
ওয়াত্তারার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গবাগবো ও ক্রেডিট সুইসের সাবেক সিইও টিজানে থিয়াম উভয়কেই দাঁড়াতে বাধা দেওয়া হয়। গবাগবোকে ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ত করে এবং থিয়ামকে ফরাসি নাগরিকত্ব অর্জনের কারণ দেখিয়ে প্রতিদ্বন্দি¦তা করতে বাধা দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক দিনগুলোয় বিরোধীদের বিক্ষোভ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সরকার কিছু এলাকায় রাতের কারফিউ জারি করে এবং ৪৪ হাজার নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও ছিলেন।
সোমবার, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ভবনে আগুন দেওয়া হয়।
সরকার বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আদালত শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য বেশ কিছু লোককে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
৩ কোটি জনসংখ্যর দেশটি জুড়ে, বিশেষ করে দক্ষিণ ও পশ্চিমে সাবেক বিরোধী শক্ত ঘাঁটিতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে যে তারা ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতার পুনরাবৃত্তি এড়াতে চায়। সেই সময়ে সহিংসতায় ৮৫ জন মারা যায়।