
ঢাকা, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : প্যারিস এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কিছু তারে আগুন লাগার কারণে সোমবার ফ্রান্সে বেশ কয়েকটি দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পরিবহনমন্ত্রী ফিলিপ তাবারোট এক্স-এ বলেছেন, ভ্যালেন্সের দক্ষিণে রাতে ট্রেন লাইনের কেবলগুলোতে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো’ হয়েছে। এই লাইন প্যারিসকে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী মার্সেইয়ের সাথে সংযুক্ত করেছে।
প্যারিস থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ভ্যালেন্স শহরটি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তুলুস এবং কেন্দ্রীয় শহর লিওনের সংযোগকারী রুটেও অবস্থিত।
কারা অগ্নিসংযোগ করেছে সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
জাতীয় রেলওয়ে অপারেটর ‘এসএনসিএফ’ জানিয়েছে, ২৫ মিটার (২৭ গজ) দীর্ঘ এলাকায় ১৬টি তার প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে এবং মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকভাবে শুরু হবে বলে মনে হচ্ছে না।
পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় ১শ’টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।
ফরাসি রাজধানীর গ্যারে ডি লিওঁতে দক্ষিণ বন্দর শহর মার্সেই অভিমুখী সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং যাত্রীরা পুনরায় বুকিং দেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
জার্মান ছাত্রী লিনা, যিনি তার প্রকৃত নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, তিনি সোমবার বার্সেলোনা ভ্রমণের আশা করেছিলেন কিন্তু তাকে বলা হয়েছে, প্যারিসে ট্রেন থেকে নামতে হবে।
তিনি বলেছেন, ‘আমি আশা করি আমার টাকা ফেরত পাব এবং বাসে চড়ব’।
মার্সেইতে এক বৃদ্ধ দম্পতি টিকিট অফিসের সামনে সারিবদ্ধভাবে ভ্রমণকারীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন।
সোমবারের ঘটনাটি ফ্রান্সে ধারাবাহিক ট্রেন চলাচল বিঘ্নের সর্বশেষ ঘটনা।
জুন মাসে, উত্তর ফ্রান্সে কেবল চুরির ঘটনা লন্ডন এবং প্যারিসের মধ্যে কয়েক দিনের জন্য ইউরোস্টার ট্র্যাফিক ব্যাহত করে।
মার্চ মাসে প্যারিসের বাইরে রেল লাইনে ৫শ’ কিলোগ্রাম ওজনের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা আবিষ্কারের ফলে হাজার হাজার যাত্রী আটকে পড়েন। এই ঘটনা ফরাসি রাজধানীতে বছরের পর বছর ধরে রেল চলাচলে সবচেয়ে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে। পরে একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারীদল এটি নিষ্ক্রিয় করার পর যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।