
ঢাকা, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে তার মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করবেন।
বুদাপেস্টের রাশিয়ান জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করতে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার একথা বলেছেন।
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী ‘রোজনেফ্ট’ এবং ‘লুকোয়েল- এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসার পর মস্কোকে টার্গেট করে এটিই প্রথম পদক্ষেপ।
বুদাপেস্ট থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে ট্রাম্প এবং ক্রেমলিনের নিকটতম মিত্র হিসেবে দেখা হাঙ্গেরি রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণ সত্ত্বেও এখনো রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
সপ্তাহান্তে, ন্যাটোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ হুইটেকার ফক্স নিউজ’কে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে হাঙ্গেরির মতো দেশগুলো রাশিয়া থেকে জ্বালানি থেকে আমদানি বন্ধ করে ‘মস্কোর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন’ করতে ‘একটি পরিকল্পনা নিয়ে আসবে এবং বাস্তবায়ন করবে’।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আগামী সপ্তাহের দ্বিতীয়ার্ধে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ থাকবে’।
সিজ্জার্তোর মতে, হাঙ্গেরি বর্তমানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ‘আইনি এবং শারীরিকভাবে’ অর্থ কী তা বিশ্লেষণ করছে।
শুক্রবার, অরবান বলেছেন, তারা এই ব্যবস্থাগুলোকে ‘এড়িয়ে যাওয়ার’ উপায় খুঁজছেন।
জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো বাসভবনে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচনের আগে দ’ুবার দেখা করেছিলেন।
অরবান ইউক্রেন-যুদ্ধের বিষয়ে বুদাপেস্টে একটি পরিকল্পিত মার্কিন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু তারিখ নির্ধারণের আগেই ট্রাম্প বৈঠকটি বাতিল করে দেন।
গত সপ্তাহে, ইইউ রাশিয়ার তেল ও গ্যাস খাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ নিষেধাজ্ঞার বারবার নিন্দা করা অরবান হাঙ্গেরির জন্য পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহের ওপর একটি ‘ছাড়’ নিশ্চিত করে দাবি করেছেন, ৯৫ লক্ষ জনসংখ্যার এই ‘স্থলবেষ্টিত মধ্য ইউরোপীয় দেশটির সরবরাহের জন্য কোনো ব্যবহারিক’ বিকল্প নেই।