
ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বুধবার সাবেক বসনিয়ান সার্ব নেতা মিলোরাড ডোডিকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।
তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার প্রতি ‘মহা অবিচার’ হয়েছে বলে সংশোধন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সারাজেভো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রেজারির বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অফিস (ওএফএসি) ২০১৭ সালে ডোডিকের বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতির জন্য অর্থাৎ ‘ডেটন চুক্তিতে বাধা’ দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার আন্তঃজাতিগত যুদ্ধের অবসান ঘটে।
বসনিয়ার এই অভিজ্ঞ সার্ব রাজনীতিবিদ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিচ্ছিন্নতার হুমকি দিয়ে বসনিয়ার দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছেন। যা ১৯৯২-১৯৯৫ সালের যুগোস্লাভিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে দেশের সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম।
যুদ্ধের ফলে বসনিয়া অত্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত সার্ব-পরিচালিত রিপাবলিকান শ্রপস্কা এবং মুসলিম-ক্রোয়েশীয় ফেডারেশনে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই দু’টি রাষ্ট্র একটি দুর্বল কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সাথে যুক্ত।
বসনিয়ার একটি আদালত ফেব্রুয়ারিতে ডেটন শান্তি চুক্তির তত্ত্বাবধানকারী আন্তর্জাতিক দূত ক্রিশ্চিয়ান শ্মিটের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের জন্য ডোডিককে দোষী সাব্যস্ত করে। এই রায়ে ডোডিককে পদ থেকে অপসারণ করা হয় এবং ছয় বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়।
এই মাসের শুরুতে বসনিয়ার সার্ব পার্লামেন্ট তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনা ট্রিসিক বাবিককে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডোডিক বসনিয়ার যৌথ প্রেসিডেন্টের সার্ব সদস্য জেলজকা সিভিজানোভিচ, আরএস পার্লামেন্টের স্পিকার নেনাদ স্টেভান্ডিচ এবং আরো কয়েক ডজন বসনিয়ার সার্ব কর্মকর্তা ও কোম্পানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
ডোডিক অন এক্স ‘রিপাবলিকান শ্রপস্কা এর প্রতিনিধি এবং তাদের পরিবারের প্রতি ওবামা এবং বাইডেন প্রশাসনের দ্বারা সৃষ্ট মহা অবিচার সংশোধন করার জন্য’ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি এই পদক্ষেপকে তার প্রশাসন সম্পর্কে ‘সত্যের নৈতিক পুনর্বাসন’ বলেও অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আবারো প্রমাণিত হয়েছে, আমাদের বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছিল তা সবই মিথ্যা এবং অপপ্রচার ছিল, যার ওপর ক্রিশ্চিয়ান শ্মিট একটি বিরাট জগাখিচুড়ি তৈরি করেছিলেন। এমন একটি জগাখিচুড়ি এখন পরিষ্কার করা দরকার’।
বসনিয়ার নির্বাচন কমিশন ২৩ নভেম্বর আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছে যাতে ২০২৬ সালের অক্টোবরে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত সত্তার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন নতুন রিপাবলিকান শ্রীপস্কা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা যায়।